সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রয়োজন বা অপ্রয়োজন। সেলফি অনেকের কাছেই এখন যেন অবিচ্ছেদ্য অংশ। নতুন প্রজন্মের সিংহভাগ ছেলে-মেয়ে নিজের বা অন্যদের নিয়ে ছবি তুলতে পছন্দ করেন। তাদের এই উত্তরোত্তর প্রবণতায় লক্ষ্মীলাভের সুযোগ পেয়েছেন কর্নাটকের এক কৃষক। তাঁর সূর্যমুখী খেতের সামনে স্রেফ একটি বোর্ড বসিয়ে এক সপ্তাহেই ৪০ হাজার পকেটে পুরেছেন তিনি। এর জন্য ওই কৃষককে তেমন পরিশ্রম করতে হয়নি। খেতের সামনে কুমার নামের ওই চাষি লিখে দিয়েছেন যত খুশি সেলফি তুলুন। হাত খুলে ছবি তুলতে গুনতে হবে ২০ টাকা।
[GST-র জের, চলন্ত ট্রেনেই যাত্রীদের কাছে অতিরিক্ত টাকা আদায় টিটিই-র]
কর্নাটকের চামরাজনগর কৃষিকাজে রাজ্যে সামনের সারিতে। এই জেলায় সূর্যমুখীর উৎপাদন সবথেকে বেশি। ৭৬৬ নম্বর জাতীয় সড়ক চামরাজনগরের ওপর দিয়ে গিয়েছে। এই জাতীয় সড়কের পাশে প্রায় তিন বিঘে জমি রয়েছে স্থানীয় কৃষক এম কুমারের। ওই কৃষক জমিতে সূর্যমুখী ফুল চাষ করেন। কুমারের জমিতে এখন সূর্যমুখী ফুল ফুটতে শুরু করেছে। জাতীয় সড়কের পাশে হওয়ায় টকটকে হলুদ ফুলের টানে মাঝেমধ্যেই ওই খেতে ঢুকে পড়েন উৎসাহীরা। কেউ সেলফি তোলেন। কেউ কেউ অতি উৎসাহে ফুল ছিড়ে ফেলেন। কারও পায়ের চাপে গাছ নষ্ট হয়। অবাঞ্ছিত এইসব লোকজনকে কীভাবে সামলাবেন তা বুঝতে উঠতে পারছিলেন না কুমার। অনেক ভেবে-চিন্তে তিনি একটি রাস্তা পান। ঠিক করেন ছবি তোলার এই শখকে অন্যভাবে কাজে লাগাবেন। কীরকম? কুমার খেতের সামনে একটি বোর্ড বসান। জমিটা চারদিক দিয়ে ঘিরে দেন। লিখে দেন সবাইকে সূর্যমুখী খেতে স্বাগত। এখানে একজন যত খুশি সেলফি তুলতে পারেন। যার জন্য দিতে হবে ২০ কোটি। এর পোশাকি নাম রাখা হয়েছে ‘সানি সেলফি’। কুমারের এই স্ট্র্যাটেজি দারুন খেটে যায়। মাত্র এক সপ্তাহে তাঁর পকেটে এসেছে ৪০ হাজার টাকা। জাতীয় সড়কের পাশেই এমন একটা ছবি তোলার সুযোগ অনেকেই ছাড়তে চাইছেন না। তার জন্য ২০ টাকা খরচ করতেও তারা পিছপা নন।
[৮ বছরে বিয়ে, ডাক্তারির প্রবেশিকায় নজির কৃষক-জায়ার]
কুমারের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন কর্নাটকের ব্যবসায়ীরা। তাদের বক্তব্য, অর্থকরী ফসল চাষ করে আক্ষরিক অর্থেই অর্থের খোঁজ পেয়েছেন কুমার। কর্নাটকের এই ব্যবসায়ী ঠিক করেছেন পরবর্তী মরসুমেও এই কায়দায় রোজগার করবেন।
The post সূর্যমুখীর খেতে ‘সেলফি পয়েন্ট’! কৃষকের রোজগার চমকে দেওয়ার মতো appeared first on Sangbad Pratidin.