ধীমান রায়, কাটোয়া: কেতুগ্রামের পর এবার মঙ্গলকোট। বৈধ কাগজপত্র ছাড়া মঙ্গলকোটে ৫৩ টি গরু (Cow) নিয়ে যাওয়ার পথে আটক করল পুলিশ। ঘটনায় পুলিশ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। শুক্রবার রাতে মঙ্গলকোটের ইছাবটগ্রামের কাছে তাদের ধরা হয় বলে খবর পুলিশ সূত্রে। জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম সাহেব শেখ, জাহিরুল শেখ, আমির হাসান মল্লিক ও শেখ জাহাঙ্গির।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কাটোয়ার (Katwa) নতুনহাট রোডে শুক্রবার রাতে নাকা চেকিং চালাচ্ছিল মঙ্গলকোট থানার পুলিশ। সেই সময় একটি গরু বোঝাই লরি, কাটোয়া থেকে বীরভূমের (Birbhum) দিকে যাচ্ছিল। পুলিশ গাড়িটিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। তাদের কাছে গরু নিয়ে যাওয়ার বৈধ নথিপত্র দেখতে চাওয়া হয়। কিন্তু তা কেউ দেখাতে পারেননি বলে পুলিশের দাবি। আর তারপরই গরুগুলিকে আটক করা হয়। গ্রেপ্তার করা হয় চারজনকে। আজ তাদের আদালতে তোলা হলে ৮ তারিখ পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘অডিও প্রকাশ করুক, প্রস্তুত আছি’, বিনয় মিশ্রের সঙ্গে যোগাযোগ নিয়ে অভিষেককে পালটা শুভেন্দুর]
পুলিশ জানিয়েছে, তাদের সকলের বাড়ি বীরভূম জেলার লাভপুর থানার কুসুমগড়িয়া গ্রামে। তারা কোথায় যাচ্ছিল, কোথা থেকে গরুগুলিকে আনা হয়েছে, বিক্রি নাকি পাচারের উদ্দেশ্য ছিল, সেসব বিশদে জানতে মরিয়া তাঁরা।
গত মাসে বর্ধমানের কেতুগ্রামে (Ketugram) একইরকম ঘটনা ঘটেছিল। ওইদিন রাতে কেতুগ্রামের নিরোল রোডের কাছে ৪৭টি গরু-সহ ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২টি মিনি ট্রাক বাজেয়াপ্তও করা হয়। তদন্তকারীদের দাবি, ওই ন’জন ৪৭টি গরু নিয়ে যাচ্ছিল। ২টি মিনি ট্রাকে বেশ কয়েকটি গরু ছিল। বাকি গরুগুলিকে হাঁটিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল তারা। তাতেই সন্দেহ হয়। গরুগুলিকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, সে বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হয়। কোথা থেকে গরুগুলিকে নিয়ে যাচ্ছে তারা? কেনই বা গভীর রাতে গরুগুলিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে – এমনই নানা প্রশ্ন করা হয় তাদের। জানতে পারে, নানুর থেকে গরুগুলিকে নিয়ে আসা হয়েছে। তবে তাদের কাছে কোনও বৈধ কাগজপত্র ছিল না বলেই দাবি তদন্তকারীদের। গ্রেপ্তার করা হয় ৯ জনকে। পরে অবশ্য আদালতে তুললে জামিনে মুক্তি পেয়ে যায় সকলেই।