শেখর চন্দ্র, আসানসোল: গরু পাচারে অভিযুক্ত বিনয় মিশ্রকে দেশে ফেরাতে তৎপর সিবিআই। সূত্রের খবর, তদন্ত এড়াতে অন্য দেশে গা-ঢাকা দিয়েছেন তিনি। ফলে চার্জশিটে নাম থাকলেও বিনয়কে গ্রেপ্তার করা যায়নি। এবার তাঁকে দেশে ফিরিয়ে নিজেদের হেফাজতে নিতে তৎপর তদন্তকারীরা। সেই উদ্দেশে শনিবার আসানসোল সিবিআই আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তীর কাছে এবিষয়ে তথ্য জমা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। সূত্রের খবর
সূত্রের খবর, বিনয় মিশ্রকে তদন্তকারীদের হাতে প্রত্যর্পণ করা হোক চাইছেন তদন্তকারীরা। তবে এই প্রক্রিয়ায় জন্য বিদেশমন্ত্রকের সাহায্য প্রয়োজন। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে আদালতের অনুমতি দরকার। এই সেই অনুমতি নিতেই বিশেষ সিবিআই আদালতের দ্বারস্থ হন সিবিআই এসপি রাজীব মিশ্র। এদিন বিচারককে পুরো বিষয়টি জানান সিবিআয়ের এসপি। সমস্ত বিষয়টি নিয়ে আদালতের কাছে একটি হলফনামা জমা করা হয়। এবার আদালতের অনুমোদনপ্রাপ্ত হলফনামাটি বিদেশমন্ত্রকে পাঠানো হবে বলে সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ ইস্যুর নিয়মে বড়সড় রদবদল, কী নির্দেশিকা মুখ্যসচিবের?]
গরু ও কয়লা পাচার মামলায় গোড়া থেকে কেন্দ্রীয় তদন্ত এজেন্সি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ও সিবিআইয়ের নজরে ছিলেন বিনয় মিশ্র। তদন্তে জানা যায়, কয়লা ও গরু পাচারের লভ্যাংশের মোটা টাকা প্রভাবশালীদের বিদেশি অ্যাকাউন্টে পাচার হয়েছে বিনয় মিশ্রর মাধ্যমেই। প্রভাবশালীদের ব্যাংকক ও লন্ডনের বেশ কিছু ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা জমা করা হয়েছে বলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর। তদন্তের স্বার্থে একাধিকবার বিনয় মিশ্রকে তলব করা হলেও লাভ হয়নি। পরবর্তীতে সিবিআইয়ের আরজি মেনে বিনয় মিশ্রর বিরুদ্ধে রেড কর্নার নোটিসও জারি করেছিল আসানসোলের (Asansol) বিশেষ আদালত। ইন্টারপোলকেও নোটিস পাঠানো হয়। তাতেও দেখা মেলেনি বিনয় মিশ্রের।
শোনা যায়, কয়লা ও গরুপাচার (Coal and Cattle smuggling) কাণ্ডে তাঁর নাম জড়ানোর পরই দেশ ছেড়ে দুবাইয়ে পালিয়ে যান বিনয়। পরে সেখান থেকে সোজা ভানুয়াতু পাড়ি দেন। ভানুয়াতু (Vanuatu)দ্বীপের বেশ কিছু অংশ কিনে তিনি নাগরিক হিসেবে বসবাস করছেন। আগেই দিল্লির আদালত বিনয় মিশ্রকে পলাতক ঘোষণা করল।