সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলা হোক বা দেশ, জাতীয় রাজনীতিতে ভীষণ রকমভাবে চর্চিত দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি ও সিবিআই। দুর্নীতির মামলায় একে অপরের 'সহায়ক' এই দুই এজেন্সি জোড়া তালায় বন্দি করে অভিযুক্তকে। এহেন দুই সংস্থাই কি এবার একে অপরের মুখোমুখি। সাম্প্রতিক ঘটনা এবার তেমনই প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে। বৃহস্পতিবার সিবিআইয়ের হাতে গ্রেপ্তার হলেন ইডির সহকারি ডিরেক্টর।
তদন্তকারী সংস্থার তরফে জানা যাচ্ছে, বিপুল টাকা ঘুষ নেওয়ার সময় হাতে নাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে অভিযুক্ত ইডি আধিকারিক সন্দীপ সিং যাদবকে। জানা গিয়েছে, দিল্লির এক গয়না ব্যবসায়ীর ছেলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিল ইডি। সেই মামলায় অভিযুক্ত ছেলেকে বাঁচাতে ব্যবসায়ীর থেকে ঘুষ চান ওই আধিকারিক। অভিযোগ, ওই ব্যবসায়ীর কাছ থেকে প্রায় ২০ লক্ষ টাকা ঘুষ চেয়েছিলেন অভিযুক্ত আধিকারিক। এই ঘুষের ঘটনায় অভিযোগ দায়ের হয় সিবিআইয়ের কাছে।
[আরও পড়ুন: সিবিআই জালে বন্দি কেজরি! ২০ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ল জেল হেফাজত]
এর পরই অভিযুক্ত আধিকারিককে পাকড়াও করতে কোমর বেঁধে মাঠে নামেন সিবিআই কর্তারা। যেখানে এই বিপুল টাকার লেনদেন হওয়ার কথা দিল্লির সেই লাজপত নগরে জাল বিছায় সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। ঘুষ নেওয়ার সময় হাতে নাতে গ্রেপ্তার করা হয় অভিযুক্ত আধিকারিককে। তবে কেন্দ্রীয় এজেন্সির এহেন ঘুষ কাণ্ডের ঘটনা এই প্রথমবার নয়, এর আগে দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল ইডির সহকারি ডিরেক্টর পদ্মর্যাদার এক আধিকারিক সহ মোট ৭ আধিকারিককে। অভিযোগ ছিল এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৫ কোটি টাকা ঘুষ নিয়েছিলেন তাঁরা।
[আরও পড়ুন: জম্মু সামলাবে দেশের প্রাচীন আধাসামরিক বাহিনী! জঙ্গি দমনে নয়া কৌশল কেন্দ্রের]
দেশজুড়ে একের পর এক ব্যাপক দুর্নীতির তদন্ত করছে ইডি। এহেন কেন্দ্রীয় এজেন্সির অন্দরে বার বার ঘুষ কাণ্ডের ঘটনা প্রকাশ্যে আসায় স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ইডি ও সিবিআই যে মোদি সরকারের রাজনৈতিক অস্ত্র সে অভিযোগ আগেই তুলেছিল বিরোধী শিবির। এরই মাঝে একের পর এক ঘুষকাণ্ড প্রকাশ্যে আসায় প্রশ্নের মুখে ইডির দুর্নীতির তদন্তের নিরপেক্ষতা।