সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আগামিকাল অর্থাৎ বুধবার ফের আদালতে তোলা হবে গরু পাচার মামলায় ধৃত অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mandal)। তার আগে তাঁর বিরুদ্ধে আরও প্রমাণ জোগাড়ে তৎপর সিবিআই। মঙ্গলবার সকালে বীরভূমের বিভিন্ন জায়গায় শুরু তল্লাশি। রেজিস্ট্রি অফিসে পৌঁছেছেন চারসদস্যের প্রতিনিধি দল।
মঙ্গলবার সকাল দশটা নাগাদ সিবিআই আধিকারিকরা পৌঁছন বোলপুরে। সোজা জমি রেজিস্ট্রি অফিসে পৌঁছে যান তাঁরা। ভিতরে ঢুকে কথা বলেন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীদের সঙ্গে। রেজিস্ট্রি অফিসের বিভিন্ন নথিও খতিয়ে দেখছেন তাঁরা। প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, অনুব্রতর জমি-বাড়ির হিসেব পেতেই এই তল্লাশি। কোথায় কোথায় জমি রয়েছে অনুব্রত বা তার ঘনিষ্ঠর, তার বিস্তারিত তথ্য পাওয়ার চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। রেজিস্ট্রি অফিস ছাড়াও বোলপুরের বেশ কিছু এলাকায় সিবিআই হানা দিয়েছে বলে খবর।
[আরও পড়ুন: ‘পঞ্চায়েত ভোটে পেশিশক্তি প্রয়োগ নয়’, সাংগঠনিক বৈঠকে দলীয় কর্মীদের কড়া বার্তা অভিষেকের]
অনুব্রতর গ্রেপ্তারির পর গরুপাচার মামলার শিকড়ে পৌঁছতে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে সিবিআই। সম্প্রতি অনুব্রতর একটি রাইস মিল, ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত পুরসভার কর্মী বিদ্যুৎবরণ গায়েনের বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই। প্রসঙ্গত, গরু পাচার মামলায় ভোলে ব্যোম, শিব শম্ভু, শংকর ছাড়াও বীরভূমের ১০টি রাইস মিলের দিকে নজর রয়েছে সিবিআইয়ের। ইতিমধ্যে ভোলে ব্যোম রাইস মিলে তল্লাশি চালিয়েছেন আধিকারিকরা। সেখান থেকে একটি মোটরবাইক-সহ ৬টি গাড়ি পাওয়া গিয়েছে। তার মধ্যে ফোর্ড এন্ডেভার গাড়ির মালিক এক ব্যবসায়ী দাবি করেছেন, টেন্ডার পাইয়ে দেওয়ার নামে ৪৬ লক্ষ টাকা দামের ওই গাড়িটি হাতিয়েছিলেন অনুব্রত। শিব শম্ভু রাইস মিলের মালিকানা নিয়েও নানা রকম প্রশ্ন উঠছে। কারণ, মিলের দরজায় থাকা সাইন বোর্ড অনুযায়ী, জেবি পাল ও ডিডি পাল নামে দু’জনের নাম পাওয়া গিয়েছে। এদিকে রাইস মিলটি লিজ নেওয়া হয়েছে অনুব্রতর দিদি শিবানী ঘোষের নামে। ব্যবসার অংশীদার হিসাবে উঠে আসছে বীরভূমের দাপুটে নেতার ভাগ্নে রাজা ঘোষের নামও।