সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় আরও তৎপর সিবিআই (CBI)। এবার দুই তৃণমূল বিধায়ককে জেরা করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ওই দু’জনই বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ বলেই জানা গিয়েছে। শনিবার সকালে দুর্গাপুরের এনআইটি গেস্ট হাউজে সিবিআইয়ের অস্থায়ী দপ্তরে হাজিরা দেন তাঁরা। এদিকে, সূত্রের খবর অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ের কললিস্টের দিকেও নজর রাখছে সিবিআই।
বীরভূমের লাভপুরের বিধায়ক অভিজিৎ সিনহাকে শুক্রবারই নোটিস পাঠায় সিবিআই। পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামের বিধায়ক শাহানওয়াজ হোসেনকে গত ২৮ মে ফোন মারফৎ তলব করা হয়। সিবিআই তলবে সাড়া দিয়ে শনিবার সকাল ১০টা নাগাদ দুর্গাপুরের এনআইটি গেস্ট হাউজে সিবিআইয়ের অস্থায়ী দপ্তরে যান দু’জনে। প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে চলে জিজ্ঞাসাবাদ। সাড়ে ১১টা নাগাদ সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্প থেকে বেরোন তাঁরা। সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদের ব্যাপারে মুখে কুলুপ দুই বিধায়কের। কী কথাবার্তা হয়েছে তাঁদের, সে বিষয়ে এখনও কিছু জানাননি তাঁরা। তবে সূত্রের খবর, ভোট পরবর্তী হিংসা মামলা (Post Poll Violence) নিয়েই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় দু’জনকে।
[আরও পড়ুন: কেকে’র মৃত্যুর পরেও বাতিল নয় কনসার্ট, জুলাইতে কলকাতায় আসছেন সোনু নিগম]
এদিকে সূত্রের খবর, সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) মেয়ের মোবাইল নম্বর চেয়েছেন। মনে করা হচ্ছে, অনুব্রতর একাধিক বার্তা গিয়েছিল অন্য একটি মোবাইল নম্বর থেকে। তাঁর নম্বর থেকে কিছু নম্বরে ফোন করে সিবিআই। তদন্তকারীদের অনুমান, তিনি এইসব লোকের সঙ্গে অন্য ফোনে যোগাযোগ রাখতেন। এবং সেই ফোন অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ জনের। সেক্ষেত্রে মেয়ের ফোনের দিকে সন্দেহের তির বলে সূত্রের দাবি।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় অনুব্রত মণ্ডলকে তলব করে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের ডাকে সাড়া দিয়ে বুধবার সন্ধেয় কলকাতায় পৌঁছন। পরেরদিন নির্ধারিত সময়ের বেশ কিছুটা আগেই সিজিও কমপ্লেক্সে (CGO Complex) পৌঁছন। ওইদিন টানা সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা জেরা করা হয় তাঁকে। সূত্রের খবর, ইলামবাজারের রাজনৈতিক খুন নিয়ে প্রশ্ন করা হয় তাঁকে। এরপর শুক্রবার দুপুরে হঠাৎ এসএসকেএমে স্বাস্থ্যপরীক্ষায় হাজির হন অনুব্রত। তাঁর প্রেশার, সুগার অনেকটা বেশি। এক মাস পর ফের চেকআপের পরামর্শ চিকিৎসকদের।