সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ব্যাংকিং দুর্নীতিতে অভিযুক্ত চন্দা কোচারের বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিস জারি করল সিবিআই৷ আইসিআইসিআই ব্যাংকের প্রাক্তন সিইও ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর যাতে দেশ ছেড়ে অন্যত্র পালিয়ে যেতে না পারেন, সেই কারণেই তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা৷ চন্দা কোচার ছাড়াও দ্বিতীয়বার লুক আউট নোটিস জারি হয়েছে তাঁর স্বামী দীপক কোচার ও ভিডিওকনের ম্যানেজিং ডিরেক্টর বেণুগোপাল ধূতের বিরুদ্ধে৷ ইতিমধ্যে এই নোটিসের প্রতিলিপি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে দেশের বিভিন্ন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে৷
[কাশ্মীরিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কেন্দ্র ও দশ রাজ্যকে নোটিস সুপ্রিম কোর্টের ]
দুর্নীতি করে ভিডিওকন কর্তা বেণুগোপাল ধূতকে ঋণ পাইয়ে দেওয়ায় অভিযুক্ত চন্দা৷ এই অভিযোগে, গত মাসেই চন্দাকে বরখাস্ত করে আইসিআইসিআই ব্যাংক কর্তৃপক্ষ৷ নিজের পদ ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে এবং নিয়ম-নীতি লঙ্ঘন করে ভিডিওকন সংস্থাকে বিপুল অঙ্কের ঋণ পাইয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে ছন্দার বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় ২০১৮-র মার্চ মাসে প্রাথমিক তদন্ত শুরু করে সিবিআই। তারা জানায়, ওই ঋণ অনুমোদিত হওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই ছন্দার স্বামীর নিউ পাওয়ার রিনিউয়েবলে বিনিয়োগ করেন ভিডিওকন কর্তা বেণুগোপাল ধূত। দীপক কোচার এবং ভিডিওকন গোষ্ঠীর বেণুগোপাল ধূতের মধ্যে অবৈধ আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত অভিযোগও নথিভুক্ত করে সিবিআই।
[পুলওয়ামা কাণ্ডের জের, মহারাষ্ট্রে প্রহৃত কাশ্মীরের পড়ুয়ারা ]
উল্লেখ্য, চন্দার বিরুদ্ধে ওঠা ঋণ দুর্নীতির অভিযোগের জেরে সংস্থার তরফে বিচারপতি বিএন কৃষ্ণের নেতৃত্বে তদন্ত হয়। আইসিআইসিআই কর্তৃপক্ষ জানায়, বিচারপতি কৃষ্ণর রিপোর্টের ভিত্তিতে চন্দার পদত্যাগপত্রকে গ্রহণ না করে তাঁকে বরখাস্ত করেছে। এবং চন্দার এই চলে যাওয়াকে ‘টার্মিনেশন ফর কজ’ বলে ধরা হবে। অবসরকালীন যে সমস্ত সুযোগ সুবিধা তিনি ব্যাংকের তরফে পাচ্ছিলেন, তাও বন্ধ করে দেওয়া হয়। ইনক্রিমেন্ট, বোনাস, চিকিৎসাগত সুবিধা এবং তাঁর নামে যে শেয়ার ছিল, সে সবকিছুই বাতিল করে আইসিআইসিআই কর্তৃপক্ষ।