অর্ণচ আইচ: সিবিআই জেলবন্দি সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ও শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে আদালতে তোলার জন্য আবেদন জানিয়েছে। মঙ্গলবারই দুজনকে আদালতে তোলার নির্দেশ দিয়েছে ব্যাঙ্কশালে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত। সিবিআই তাঁদের দুজনকে একই মামলায় নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদনও জানাতে পারে। উল্লেখ্য, এর আগে এই পদ্ধতিতে প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কেও নিজেদের হেফাজতে নিয়েছিল সিবিআই।
সিবিআইয়ের দাবি, মঙ্গলবার প্রেসিডেন্সি জেল থেকে ব্যাঙ্কশালের বিশেষ আদালতে দুজনকে তোলা হতে পারে। আদালতে তাঁদের নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাতে পারে সিবিআই। তদন্তকারী ইন্সপেক্টর ওয়াসিম আক্রম খান আদালতকে জানান, তদন্ত এখন খুব গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে দাঁড়িয়ে। প্রাথমিক নিয়োগে বড়সড় দুর্নীতি হয়েছে। তাই এই দুজনকে গ্রেপ্তারির পর সিবিআই হেফাজতে রেখে জেরার প্রয়োজন রয়েছে। আর সেই কারণেই এই আবেদন।
উল্লেখ্য, প্রাথমিকে নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় গত বছর ৩০ মে সুজয়কৃষ্ণকে গ্রেপ্তার করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সেই মামলায় জামিনের আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। সোমবার জামিন মামলায় শুনানি শেষ হলেও রায়দান স্থগিত রাখেন বিচারপতি শুভ্রা ঘোষ। আদালত সূত্রে খবর, রাহুল বেরা নামক এক সিভিক ভলান্টিয়ারের সঙ্গে কথোপকথনের রেকর্ডিংয়ের সূত্র ধরে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে। প্রথমে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে এবং পরে বিচারপতি শুভ্রা ঘোষের এজলাসে তাঁর জামিন মামলার শুনানি হয়। সেই মামলাতেই জামিনের আর্জি জানানো হয়। এই মামলায় এখনও নতুন নতুন তথ্য পাওয়া যাচ্ছে বলে সুজয়কৃষ্ণের জামিনের বিরোধিতা করে ইডি। তবে এই মামলার শুনানিতে যদি বিচারপতি কালীঘাটের কাকুর জামিন মঞ্জুর করে, তবে তদন্তের গতি শ্লথ হয়ে যেতে পারে বলেই আশঙ্কা করছে সিবিআই। সূত্রের খবর, সেই বিষয়টিকে মাথায় রেখেই সুজয়কৃষ্ণ এবং শান্তনুকে আদালতে তোলার জন্য আবেদন জানানো হয়েছে। তাঁদের নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আর্জি জানাতে পারেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা।