নন্দন দত্ত, সিউড়ি: সিবিআইয়ের নজরে ভারত সেবাশ্রমের দেড় একর জমি। ওই জমিটি অনুব্রতকন্যা সুকন্যার কোম্পানির মালিকাধীন। সেই জমিজমা সংক্রান্ত খোঁজখবর নিতে অনুব্রতকন্যাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর ভারত সেবাশ্রমে সিবিআই। তবে মঠাধ্যক্ষ না থাকায় তদন্ত সেভাবে এগোয়নি। পরিবর্তে ভারত সেবাশ্রম থেকে ফিরে আসেন আধিকারিকরা।
বৃহস্পতিবার সকালে বোলপুরের নিচুপট্টিতে অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে যায় সিবিআই। অনুব্রতর মেয়ে সুকন্যাকে প্রায় দেড়ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে। তদন্তকারীরা এর আগে গত ১৭ আগস্ট অনুব্রতকন্যাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। সেদিন সুকন্যা সিবিআইকে জানিয়েছিলেন তাঁর বাবা জেলবন্দি। মায়ের মৃত্যু হয়েছে কিছুদিন আগইে। তাই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত তিনি। সে কারণে সব কিছু ঠিকঠাক বলতে পারবেন না। তবে শুক্রবার নোটিস না দিয়েই ঠিক একমাস পরে সিবিআই হাজির হয়।
[আরও পড়ুন: হাই কোর্টের নির্দেশে শুরু নিয়োগ, ১৮৭ জনকে ইন্টারভিউর ডাক প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের]
এবার দীর্ঘক্ষণ সুকন্যার সঙ্গে কথা বলেছেন তদন্তকারীরা। পরবর্তী জিজ্ঞাসাবাদের সমস্ত রকম আইনি প্রক্রিয়া তারা সেরে রেখেছেন বলে জানা গিয়েছে। অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেপ্তারের পর বোলপুরের একাধিক চালকলে হানা দেন তদন্তকারীরা। সেই চালকলগুলির মধ্যে অন্যতম ভোলে ব্যোম। ওই চালকলের মালিক প্রয়াত হারাধন মণ্ডলের ছেলে শ্যামল মণ্ডলকেও এদিন সকালে ডেকে পাঠায় সিবিআই। শান্তিনিকেতনের অস্থায়ী শিবিরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
শান্তিনিকেতনে সিবিআইয়ের অস্থায়ী শিবিরে যান অনুব্রতর হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারী। সিবিআই সূত্রে খবর, ১৫ কোটি টাকার রাইস মিল ২০১৩ সালে পাঁচ কোটি টাকায় কিনেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। আগে ওই রাইস মিলের নাম ছিল শ্রীগুরু রাইস মিল। সেই মিলের ডিরেক্টর সুকন্যা মণ্ডল ও বিদ্যুৎকুমার গায়েন। সুকন্যা প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক। সেই মাস মাইনের টাকায় কীভাবে রাইস মিল কিনলেন, সেই তথ্যের খোঁজে সিবিআই। অনুব্রতকন্যার বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। বিভিন্ন সম্পত্তি সংক্রান্ত বিষয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
সিবিআই সূত্রে খবর, সুচিন্ত্যকুমার চট্টোপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তি ভারত সেবাশ্রম সংঘকে জমি দান করেছিলেন। ২০১৮ সালে কেনা ওই জমিটি র রেজিস্ট্রি হয়েছিল তিন বছর পর। জমির দলিলে স্বামী সংঘমিত্রানন্দের সইও রয়েছে। ওই জমিটি বিক্রি হয়েছিল এএনএম অ্যাগ্রোকেম প্রাইভেট লিমিটেডের কাছে। দলিলে সই রয়েছে বিদ্যুৎবরণ গায়েনের। তাঁকে সম্প্রতি জেরা করেন সিবিআই আধিকারিকরা।