শেখর চন্দ্র, আসানসোল: কয়লা পাচার মামলায় মূল অভিযুক্ত অনুপ মাজি ওরফে লালা অভিযুক্ত নাকি সাক্ষী? সিবিআইয়ের আচরণ দেখে প্রশ্ন তুললেন আসানসোল সিবিআই আদালতের বিচারক। এই মামলায় প্রধান অভিযুক্ত অনুপ মাজি ওরফে লালাকে সিবিআইয়ের তলবের পদ্ধতিও ত্রুটিপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
বিচারক রাজেশ চক্রবর্তীর তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়েন সিবিআইয়ের আইনজীবী। শনিবার আদালতে উপস্থিত ছিল অভিযুক্ত ৫০ জন। এদিন চার্জ গঠন করার কথা ছিল। তবে এই মামলায় জড়িত থাকা দুটি সংস্থার জটিলতার কারণে তা হয়নি। এদিন শুনানি শেষে অনুপ মাজি ওরফে লালাকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন বিচারক। ফোন করে নাকি নোটিস পাঠিয়ে তাকে সিবিআই নিজাম প্যালেসে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকে, তা জানতে চাওয়া হয়। লালা তার আইনজীবীকে জানান, ই-মেল করে ডাকা হচ্ছে তাকে। তখন বিচারক সেই মেল দেখতে চান। লালা তার মোবাইল দেন। সেই মোবাইল থেকে ই-মেল বের করে হতবাক হয়ে যান বিচারক।
[আরও পড়ুন: ‘মা, দাদুটা ভালো নয়’, ‘যৌন হেনস্তা’য় রক্তাক্ত হয়ে বাড়ি ফিরে অভিযোগ খুদের]
সিবিআইয়ের আইনজীবী রাকেশ কুমারকে মেলটি দেখে জানাতে বলেন, "এভাবে চার্জশিট পেশের পর কাউকে তলব করা যায়?" বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, "একজন অভিযুক্তকে সাধারণভাবে ডাকা হচ্ছে কেন? সে জানতেই পারছে না যে সে অভিযুক্ত না স্বাক্ষী। কী কারণে তাকে ডাকা হচ্ছে সে কথাও উল্লেখ করা হয়নি।" বিচারকের তোলা কোন প্রশ্নের জবাব দিতে পারেননি সিবিআইয়ের আইনজীবী রাকেশ কুমার। মামলার চূড়ান্ত চার্জগঠনের পরবর্তী শুনানি আগামী ১৪ নভেম্বর।