অর্ণব আইচ: টানা জিজ্ঞাসাবাদের পর সন্দীপ ঘোষকে (Sandip Ghosh) নিয়ে সিজিও থেকে বেরলেন সিবিআই আধিকারিকরা। সোমবার সকাল থেকে টানা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় আর জি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষকে। তাতে একাধিক অসংগতি মেলে বলে খবর। এর পরই আচমকা সন্দীপকে সঙ্গে নিয়ে বেরিয়ে পড়েন সিবিআই কর্তারা। কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সন্দীপকে? তা স্পষ্ট নয়। তবে শোনা যাচ্ছে, নিজামে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তাঁকে।
গত ৮ আগস্ট, নাইট শিফট ছিল আর জি করের তরুণী চিকিৎসকের। পরদিন সকালে সেমিনার হল থেকে দেহ উদ্ধার হয় তাঁর। সেই সময় প্রায় বিবস্ত্র ছিলেন তিনি। অভিযোগ, ধর্ষণ ও খুন করা হয়েছে তরুণী চিকিৎসককে। ওই ঘটনার সময় আর জি করের অধ্যক্ষ ছিলেন সন্দীপ ঘোষ। তাঁর বিরুদ্ধে আন্দোলনে সরব হন পড়ুয়া ও জুনিয়র চিকিৎসকরা। পদত্যাগের দাবি জানান। টালমাটাল পরিস্থিতির মাঝে গত ১২ আগস্ট এই ঘটনার ‘নৈতিক দায়’ নিয়ে ‘স্বেচ্ছা’য় পদত্যাগ করেন অধ্যক্ষ সন্দীপ। যদিও তার কিছুক্ষণের মধ্যে রাজ্য সরকারের তরফে তাঁকে পুনর্বাসন দেওয়া হয়। সেখানেও প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। এর পর কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে আপাতত লম্বা ছুটিতে আর জি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ।
[আরও পড়ুন: ‘অভিভাবক ভাবি, তাই…’, মমতার কাছে বিহিতের আর্জি স্বস্তিকার, কী দাবি সুদীপ্তা-চৈতিদের?]
পরবর্তীতে আর জি করে (RG Kar) তরুণী ধর্ষণ ও খুনের তদন্তভার পায় সিবিআই। এর পরই সিজিওতে তলব করা হয় প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে (Sandip Ghosh) । এখনও পর্যন্ত ১৫ দিন সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিলেন তিনি। এর মাঝে এক রবিবার সাতসকালে দুর্নীতির মামলায় সন্দীপের বাড়িতে হাজির হয়েছিলেন সিবিআই আধিকারিকরা। দিনভর চলে তল্লাশি। তবে এই লাগাতার জেরায় কি আদৌ কোনও তথ্য মিলছে? প্রশ্ন ছিল ওয়াকিবহল মহলের। এসবের মাঝে সোমবার সন্ধে সাড়ে সাতটা নাগাদ সন্দীপকে সঙ্গে নিয়ে সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বের হন সিবিআই আধিকারিকরা। তবে তাঁদের গন্তব্য কোথায় তা স্পষ্ট নয়। তবে মনে করা হচ্ছে, আর জি করের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলির থেকে পাওয়া তথ্য যাচাইয়ের জন্য নিজামে নিয়ে যাওয়া হতে পারে সন্দীপকে। টালা থানায় হওয়া আর্থিক দুর্নীতির মামলায় আখতার আলির সঙ্গে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। উল্লেখ্য, এদিনই ইডির দপ্তরে হাজির দিয়েছিলেন আর জি করের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি।