সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইডির উপর হামলার ঘটনার তদন্তে ফের সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) সিবিআই। সোমবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ রাজ্য পুলিশের হাতে ধৃত ২ জনকে নিয়ে সন্দেশখালির বিভিন্ন এলাকায় যান তদন্তকারীরা। সেখানকার বাসিন্দাদের সঙ্গেও কথা বলেন সিবিআই অফিসাররা।
গত জানুয়ারি থেকে সংবাদ শিরোনামে সন্দেশখালি। রেশন দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমে ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালি যান ইডি আধিকারিকরা। উদ্দেশ্য ছিল তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি। কিন্তু ইডি এলাকায় পৌঁছতেই রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা। আক্রান্ত হন খোদ ইডি আধিকারিকরা। এখানেই শেষ নয়, কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরাও নিস্তার পাননি। রীতিমতো প্রাণ হাতে নিয়ে এলাকা ছাড়েন তাঁরা। ঘটনার জল গড়ায় আদালতে। প্রথমে রাজ্য পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন শেখ শাহজাহান-সহ বেশ কয়েকজন। পরবর্তীতে মামলার তদন্তভার পায় সিবিআই।
[আরও পড়ুন: ভোটপ্রচারে বায়ুসেনার চপার ব্যবহার মোদির! আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে কমিশনে তৃণমূল]
সোমবার সন্ধেয় রাজ্য পুলিশের হাতে ধৃত ২ জনকে নিয়ে সন্দেশখালি পৌঁছন সিবিআই আধিকারিকরা। প্রথমে বামনপুকুর এলাকার একটি রেস্তরাঁয় যান তাঁরা। সেখানে তল্লাশি চালানো হয়। খতিয়ে দেখা হয় সিসিটিভি ফুটেজ। এর পর সোজা চলে যান আগারহাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের ছোটবিটপোল এলাকায় যান তাঁরা। রাতের অন্ধকারে একটি ভেড়ি এলাকায় গিয়ে সিবিআই ঘটনার পুণর্নিমাণ করে বলে খবর। প্রসঙ্গত, শেখ শাহজাহান গ্রেপ্তার হওয়ার আগে প্রায় ৫৫ দিন সন্দেশখালির বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপন করেছিলেন। তাঁকে সহযোগিতা করেছিলেন তাঁরই ঘনিষ্ঠরা। ইডির উপর হামলার ঘটনার রহস্যভেদের পাশাপাশি কোথায় কোথায় সন্দেশখালির 'বাঘ' আত্মগোপন করেছিলেন, তা জানতে তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই। সেই কারণেই এদিনর হানা।