অর্ণব দাস, বারাকপুর: ভাটপাড়ায় শুটআউটে নিহত তৃণমূল কর্মী ভিকি যাদবের বাড়িতে সিবিআই। শনিবার দুপুরে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দুই সদস্যের প্রতিনিধি দল ভিকির বাড়িতে যায়। প্রায় মিনিট পনেরো সিবিআই আধিকারিকরা নিহত তৃণমূল কর্মীর ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের পুরানি তলব এলাকার বাড়িতে ছিলেন। তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন তদন্তকারীরা। ভোট পরবর্তী হিংসায় আকাশ যাদব খুনের ঘটনায় প্রধান সাক্ষী ছিলেন ভিকি যাদব। সেই মামলার তদন্তেই সিবিআই হানা বলেই প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে।
গত ২১ নভেম্বর সন্ধ্যায় জগদ্দল থানার ভাটপাড়া পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে পুরানি তালাব সংলগ্ন এলাকায় শুটআউটের ঘটনা ঘটে। নিজের বাড়ির সামনেই ঝাঁজরা হয়ে যান তৃণমূল কর্মী ভিকি যাদব। এই ঘটনার তদন্তে বারাকপুর কমিশনারেটের ডিসি (নর্থ) শ্রীহরি পাণ্ডের নেতৃত্বে একটি বিশেষ টিম তৈরি করা হয়। একাধিক এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে পুলিশ। তদন্তকারীরা জানতে পারেন, চারজন ভাড়াটে খুনি এসেছিল। তারা প্রথমে মেঘনা মিল সংলগ্ন একটি ফাঁকা কোয়ার্টারে এসে ওঠে। সেখানে কিছুক্ষণ থাকার পর তাদের মধ্যে তিনজন বাইকে করে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ভিকিকে খুন করে। দুজনকে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: সংসার খরচের টাকায় সন্তানের দুধ কেনার ‘শাস্তি’, তরুণীকে বিবস্ত্র করে মার শাশুড়ি ও ননদের]
ধরপাকড়ের মাঝেই ভিকি যাদব খুনের ঘটনায় নয়া মোড়। তৃণমূল কর্মীর ‘ঘনিষ্ঠে’র রহস্যমৃত্যু। শুক্রবার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বছর বাইশের ওই যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। স্থানীয় এবং পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ভিকির খুনের ঘটনার পর বারবার পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে হয়েছিল ওই হরেরামকে। একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার করা হয়েছে।
ওই সুইসাইড নোটে লেখা রয়েছে, “আমি ভিকি যাদব খুনের ব্যাপারে কিছুই জানি না। তোমাদের যদি মনে হয় আমি ভিকির খুনে যুক্ত তো ঠিক আছে, আমি ভিকি ভাইয়ার কাছেই যাচ্ছি। এই ঘটনার সঙ্গে আমি এবং আমার পরিবারের কেউই যুক্ত নয়। আমি তোমাকে মিস করছি ভিকি ভাইয়া। আমি আকাশ ভাইয়াকেও মিস করছি। আমিও তোমাদের কাছেই যাচ্ছি। ছোটু আমাকে তুই ভুল বুঝিস না। ছোটু আমার মাকে দেখিস।” ভিকি এবং ভিকি ‘ঘনিষ্ঠে’র মৃত্যুর তদন্তের মাঝেই নিহত তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে সিবিআই হানা নিয়ে জোর হইচই।
[আরও পড়ুন: এই প্ল্যানে রিচার্জ করলেই বিনামূল্যে দেখা যাবে Netflix, জানুন খুঁটিনাটি]
দেখুন ভিডিও: