গোবিন্দ রায়: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি (Primary TET Scam) মামলার তদন্ত হবে কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) নজরদারিতে। সিবিআইকে সিট (SIT) গঠনের নির্দেশ দিল আদালত। সেই বিশেষ তদন্তকারী দলের দায়িত্বে থাকবেন কলকাতার এক যুগ্ম অধিকর্তা। হাই কোর্টের নজরদারিতে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত চালাবে তারা। বুধবার এমনই নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত সিটের আধিকারিকদের বদলি করতে পারবে না সিবিআই।
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে সিবিআই (CBI) তদন্তের গতি নিয়ে অসন্তুষ্ট ছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এদিন শুনানি চলাকালীন সেই উষ্মা প্রকাশ করেন তিনি। একইসঙ্গে তদন্তে গতি আনতে নয়া নির্দেশও দেন এদিন। সিবিআইয়ের সিটে কারা কারা থাকবেন, আধিকারিকদের নামের সেই তালিকা শুক্রবার আদালতে পেশ করবে সিবিআই। এদিন শুনানি চলাকালীন বিচারপতি বলেন, “আমি আশা করব সিবিআই তদন্তে এবার লক্ষণীয় অগ্রগতি হবে। যাতে আমাকে আর আশা হত হতে না হয়।” একইসঙ্গে তিনি মনে করিয়ে দেন, অন্যান্য মামলাগুলিতে আজ পর্যন্ত সিবিআইয়ের কর্মকাণ্ডে আদালত খুব একটা সন্তুষ্ট নয়।
[আরও পড়ুন: ১১ বছর পর ফের কলকাতায় মিলল পোলিওর জীবাণু, উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্যদপ্তর]
এদিন প্রাথমিক টেটের (Primary TET Scam) দু’টি মামলার প্রাথমিক রিপোর্ট পেশ করে সিবিআই। রিপোর্ট পেশ করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদও। আদালতে সিবিআই জানায়, “আমরা অত্যন্ত গুরত্ব দিয়ে এই মামলা গুলি দেখছি। দিল্লি থেকে নতুন যুগ্ম অধিকর্তা এসেছেন যিনি শুধুমাত্র এই মামলাগুলোই দেখছে। আগামী কয়েকসপ্তাহ ঘটনাবহুল হতে চলেছে।” তবে তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি। বলেন, “আমার এখনও সন্দেহ আছে যে সিবিআই কী করবে?”
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের প্রাইমারি টেটে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। ২৬৯ জনের নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। ২০১৬ সালে একটি প্যানেল প্রকাশিত হয়েছিল। পরে ২০১৭ সালে আরও একটি প্যানেল প্রকাশিত হয়। সেই প্যানেলেই দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, পরীক্ষা না দিয়েই মিলেছে চাকরি। এই মামলায় আগেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। পাশাপাশি আদালতের নির্দেশে চাকরি খুইয়েছিলেন ২৬৯ জন। এবার সেই মামলার তদন্ত করবে সিবিআইয়ের সিট, কলকাতা হাই কোর্টের নজরদারিতে।