সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শুধু অবিজেপি রাজ্য নয়, বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতেও কি সিবিআইয়ের বিশ্বাসযোগ্যতা প্রশ্নের মুখে? এতদিন যেটা অবিজেপি রাজ্যে প্রয়োগ করা হচ্ছিল, সেটাই এবার প্রয়োগ করা হল বিজেপি শাসিত রাজ্যে। রাজ্যে তদন্তে গেলে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারের অনুমতি নিতে হবে এবার বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশেও। এই ক্ষেত্রে বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলির সঙ্গে নীতিতে মিলে গেল বিজেপি শাসিত রাজ্যের কণ্ঠস্বরও।
মধ্যপ্রদেশ সরকার বৃহস্পতিবার জানিয়েছে যে সিবিআই সে রাজ্যে তদন্ত শুরু করার আগে রাজ্যের লিখিত সম্মতি প্রয়োজন। মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। ১ জুলাই থেকে এই নিয়ম কার্যকর হচ্ছে। অর্থাৎ, ওই সময় থেকে সিবিআই-র মামলাগুলির ক্ষেত্রে নতু নিয়ম কার্যকর হবে। রাজ্যে কোনও সাধারণ ব্যক্তি সরকারি আধিকারিক বা রাজ্যের কোনও সংস্থার বিরুদ্ধে তদন্তের জন্য সিবিআইকে এখন মধ্যপ্রদেশ প্রশাসনের কাছ থেকে লিখিত ছাড়পত্র নিতে হবে। প্রসঙ্গত, দিল্লি স্পেশাল পুলিশ এস্টাব্লিশমেন্ট অ্যাক্টের ধারা ৬ অনুসারে, সিবিআইকে কোনও রাজ্যে তদন্ত করার জন্য সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারের সম্মতি নিতে হয়। তবে রাজ্যগুলি সাধারণ সম্মতিপত্র দিয়ে রাখায় প্রতিবার সম্মতি নেওয়ার প্রয়োজন হয় না।
[আরও পড়ুন: কোটা বিরোধী আন্দোলনে উত্তাল বাংলাদেশ, অব্যাহত রক্তক্ষরণ, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩২!]
কিন্তু, পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু, পাঞ্জাব, কেরালা এবং তেলেঙ্গানা– বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলি সেই সাধারণ সম্মতিপত্র প্রত্যাহার করে নিয়ে প্রত্যেক ক্ষেত্রে অনুমতি নেওয়ার নিয়ম করেছে। এবার সেই তালিকায় যোগ হল প্রথম কোনও বিজেপি শাসিত রাজ্য। অন্যদিকে, ২০২২ সালের অক্টোবরে মহারাষ্ট্রের তৎকালীন উদ্ধব ঠাকরে সরকার সাধারণ সম্মতি প্রত্যাহার করেছিল। তবে পরে শিণ্ডে সরকার পুরানো নিয়মই ফিরিয়ে আনে।
উল্লেখ্য, বিরোধীদের তরফে বার বার অভিযোগ তোলা হয়েছে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করা হচ্ছে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে। বিজেপির অঙ্গুলি হেলনে এজেন্সিগুলি বেছে বেছে টার্গেট করছে বিরোধী নেতা-নেত্রীদের। যার জেরেই সিবিআইকে বয়কট করার সিদ্ধান্ত নেয় অবিজেপি রাজ্যগুলি। এবার বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশ সরকারের এহেন পদক্ষেপ সিবিআইয়ের নিরপেক্ষতা নিয়ে বিজেপির ঘরেই প্রশ্ন তুলছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।