ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: বুস্টার ডোজ সকলের জন্য নয়। ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তি ও কোমর্বিডিটিযুক্ত ব্যক্তিরা এই প্রিকশান ডোজ পাবেন, ডাক্তারবাবুদের অনুমতিক্রমে। পাবেন কোউইন পোর্টালে নথিভুক্ত স্বাস্থ্যকর্মীরা।
এর বাইরে থাকা প্রাপ্তবয়স্করা আপাতত বুস্টার নিতে পারবেন না। ন’মাস আগে দ্বিতীয় ডোজ নিলেও নয়। গাইডলাইন বদলে কেন্দ্র এমন পদক্ষেপ করতে চলেছে বলে আইসিএমআর (ICMR) ইঙ্গিত দিয়েছে।
বছরের শুরুতেই কেন্দ্রীয় সরকার প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য বুস্টার ডোজ (Booster Dose) ঘোষণা করে। কিন্তু করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের পর প্রিকশান ডোজের কতটা প্রয়োজন তা নিয়ে আলোচনায় বসেন ভ্যাকসিন সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞ কমিটি এবং আইসিএমআর। আইসিএমআর সূত্রে খবর, গত শুক্রবার আলোচনায় প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়, প্রিকশান ডোজ সবার জন্য নয়। অন্তত তৃতীয় সংক্রমণের পর এই ডোজের প্রয়োজনীয়তা অনেকটাই কমেছে। আইসিএমআরের সহ অধিকর্তা ডা. সমীরণ পন্ডার কথায়, “বুস্টার ডোজ কাদের নিতে হবে তা খতিয়ে দেখা হয়েছে। খুব শীঘ্রই নতুন গাইডলাইন প্রকাশ করা হবে।” একধাপ এগিয়ে সমীরণবাবু বলেন, “দেশের ৮০% মানুষের মধ্যে সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের স্বাভাবিক অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে গিয়েছে। নতুন করে সংক্রমণ হলেও ভয়াবহতা অনেকটাই কমবে। তাই মুড়ি-মুড়কির মতো সবাইকে বুস্টার ডোজ দেওয়া মোটেই বিজ্ঞানসম্মত নয়।”
[আরও পড়ুন: কালো তালিকাভুক্ত হয়েও ৪ বছর ধরে চলছে ধর্মতলার দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাস! তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য]
কেন্দ্রের নয়া নিয়ম অনুযায়ী, রাজ্যের প্রায় ১ কোটি ১২ লক্ষ নাগরিক বুস্টার ডোজ পাওয়ার যোগ্য।
চলতি নিয়ম অনুযায়ী, দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার ৩৪ সপ্তাহ পর বুস্টার ডোজ পাওয়ার কথা। এই সময় পার হওয়ার পর তাঁদের মোবাইল ফোনে এসএমএস আসবে, এমনটাই জানানো হয়েছে আইসিএমআর থেকে। তবে নতুন নিয়ম অনুযায়ী, যেসব স্বাস্থ্যকর্মী (ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী), ফ্রন্টলাইন কর্মীদের নাম কোউইন পোর্টালে যুক্ত আছেন তাঁরাই প্রিকশন ডোজ পাবেন।
দ্বিতীয়ত, ৬০ বছরের বেশি বয়সি এবং বিভিন্ন উপসর্গ বা কোমর্বিডিটি রয়েছে তাঁরাও বুস্টার ডোজ পাবেন। এর বাইরে কোনও ব্যক্তি যদি কো-উইন থেকে মেসেজও পান, তাঁকে তৃতীয় ডোজ দেওয়া হবে না। এমনকী কোনও স্বাস্থ্যকর্মী বা ফ্রন্টলাইন কর্মী নতুন করে যদি তৃতীয় ডোজের জন্য নাম নথিভুক্ত করতে চান তাও আর সম্ভব নয়।
স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন, স্বাস্থ্য বা ফ্রন্টলাইন কর্মীদের কীভাবে শনাক্ত করা হবে? সমীরণবাবুর কথায়, সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল বা পুরসভার কাছে এই তথ্য রয়েছে। সেই পুরনো তথ্য অনুযায়ী কাজ চলবে। স্বাস্থ্যভবন সূত্রে খবর, ৬০ বছরের বেশি বয়সি এবং কোমর্বিডিটি থাকলে চিকিৎসকের মৌখিক অনুমতি চাই। আগামী নভেম্বরের মধ্যে এই কর্মসূচি শেষ করতে হবে রাজ্যগুলিকে।