নব্যেন্দু হাজরা: ফের রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় দল। এবার ১০০ দিনের কাজ-সহ ১১ প্রকল্পের হালহকিকত খতিয়ে দেখতে চলতি মাসেই রাজ্য়ে আসছেন কেন্দ্রের প্রতিনিধিরা। এই মর্মে নবান্নকে চিঠি দিয়েছে কেন্দ্রের গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক। উল্লেখ্য, বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা বা আবাস প্লাস, মিড ডে মিল প্রকল্পের কাজকর্ম খতিয়ে দেখছে কেন্দ্রীয় দল। যদিও কেন্দ্রীয় দলের পরিদর্শনকে সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে কটাক্ষ করেছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল।
আলিপুরদুয়ারের প্রশাসনিক সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রীর তোপ, “কারওর বাড়িতে একটা চকোলেট বোমা ফাটলেও এনআইএ পাঠাচ্ছে। আর বিএসএফ যখন গুলি করে মানুষ মারে তখন তো কেন্দ্রীয় দল আসে না! উত্তরপ্রদেশে যখন মেয়েদের উপর অত্যাচার হয়, তখন কতজনকে পাঠাও? খালি কুৎসা আর অপপ্রচারের রাজনীতি।”
[আরও পড়ুন: সরকারি অনুষ্ঠানের মঞ্চে থাকতে নারাজ অভিষেক, শেষে ‘অনুরোধ’ করতে হল মমতাকে]
১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে বাংলার টাকা আটকে দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। বারবার এই অভিযোগে সরব হয়েছে রাজ্য। পালটা কেন্দ্রের দাবি, রাজ্য হিসেব দেয়নি, তাই বরাদ্দ বন্ধ রাখা হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দ্বারস্থও হয়েছে রাজ্যের প্রতিনিধিরা। পরে অবশ্য কেন্দ্রের তরফে বরাদ্দের বেশ কিছুটা অর্থ দেওয়া হয় রাজ্য় সরকারকে।
এর মাঝেই বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব দাবি করে, ১০০ দিনের টাকা নয়ছয় করেছে রাজ্য় সরকার। এমনকী, বরাদ্দ অর্থের হিসেব চাওয়ার জন্য শুভেন্দু অধিকারী-সুকান্ত মজুমদাররা দিল্লিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের কাছে রীতিমতো দরবার করেছেন। তাৎপর্যপূর্ণভাবে এবার রাজ্য়ের ১০০ দিনের কাজ খতিয়ে দেখতে আসছে কেন্দ্রীয় দল।
গত ১৩ তারিখ নবান্নতকে চিঠি দিয়েছে কেন্দ্রের গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক। জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের অধীনস্থ ১১টি প্রকল্পের অগ্রগতি দেখতে ফিল্ড ভিজিজ করবেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা। এই ১১টির মধ্যে রয়েছে-১০০ দিনের কাজ, দিনদয়াল উপাধ্যায় গ্রামীণ কৌশল্যা যোজনা, গ্রামীণ সড়কের উন্নয়ন, ডিজিটাল ল্যান্ড রেকর্ড-সহ একাধিক প্রকল্প। ১২ জেলায় ঘুরবে প্রতিনিধিরা। তবে শুধু বাংলা নয়, ২৫ রাজ্যে দল পাঠাচ্ছে কেন্দ্র সরকার।