সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বর্তমান ভারতে পথ কুকুর (Stray Dogs) বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। গোটা দেশে পথ কুকুরের হামলা বেড়েই চলেছে। গত সপ্তাহে আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে এক বৃদ্ধকে কামড়ে, খুবলে হত্যা করে পথ কুকুরের একটি দল। চলতি মাসে ছত্তিশগড়ে পাঁচ বছরের এক শিশুকন্যার মৃত্যু হয়েছিল পথ কুকুরের হামলায়। ফেব্রুয়ারিতে কুকুরের কামড়ে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছিল হায়দরাবাদে। পথ কুকুর নিয়ে মামলা উঠেছে আদালতেও। পরিস্থিতি শামাল দিতে এবার পথ কুকুর নিয়ে নির্দেশিকা জারি করল কেন্দ্র। কী আছে ওই নির্দেশিকায়?
মাঝে বম্বে হাই কোর্টে একটি মামলা উঠেছিল। আবেদনে বলা হয়েছিল, একদল পশুপ্রেমী ব্যক্তিগত উদ্যোগে পথ কুকুরদের নিয়মিত খাওয়ান। এতে সমস্যা বাড়ছে বলে দাবি করা হয়। এই পরিস্থিতিতে পথকুকুরের দাপটে রাশ টানতে পুরসভা এবং পঞ্চায়েতগুলিকে নয়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, শুধুমাত্র অ্যানিমাল ওয়েলফেয়ার বোর্ড স্বীকৃত সংস্থাই রাস্তার কুকুরদের জন্মহার নিয়ন্ত্রণ, টিকা এবং নির্বীজকরণ কর্মসূচিতে অংশ নিতে পারবে। এর বাইরে কোনও স্বেচ্ছাসেবীকে কাজ করতে দেওয়া হবে না। এছাড়াও রাস্তার কুকুরের সঙ্গে মানুষের সংঘাত কীভাবে এড়ানো যায় সে বিষয়েও বেশ কিছু পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তবে অত্যাচার ঠেকাতে মূলত নির্বীজকরণেই জোর দেওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন: খুদের আবেদনে সাড়া, মোদির নির্দেশে কাশ্মীরের প্রত্যন্ত অঞ্চলে শুরু ‘ভাল স্কুল’ নির্মাণ]
উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্ট আগেভাগে এই নির্দেশিকা জারি করেছিল। তা অনুসরণ করা হয়েছে কেন্দ্রের নির্দেশিকায়। নির্বীজকরণ পক্রিয়া জোর দিলেও পথ কুকুরের সঙ্গে অমানবিক আচরণের প্রমাণ মিললে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, একাধিক কারণে ক্রমশ হিংস্র হয়ে উঠছে পথ কুকুর। অন্যতম কারণ গাড়িঘোড়ার ধাক্কায় কুকুরছানা বা সঙ্গীর মৃত্যু। ফলে বাইক বা গাড়ি দেখলেই ক্ষিপ্ত হয়ে উঠছে তারা। আরও এক সমস্যা হল খাদ্যসংকট। শহরাঞ্চলে না খেতে পাওয়া পথ কুকুর হিংস্র হয়ে উঠছে। ফলে নির্বীজকরণই কি একমাত্র উপায়? প্রশ্ন উঠছে।