জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: ফের বঙ্গ বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে। এবার গেরুয়া শিবিরর সমস্ত হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ ছাড়লেন কেন্দ্রীয় জাহাজ দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী তথা মতুয়া সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। কিন্তু কেন এমন সিদ্ধান্ত? জবাবে মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি শান্তনু জানান, “বিজেপির হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ গুলি থেকে আমি বেরিয়ে গিয়েছি। কেন বেরিয়ে গেলাম তার কারণ আগামিদিনে এর বিস্তারিত জবাব দেব।” তবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এহেন পদক্ষেপ নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। কিন্তু এই পদক্ষেপ একাধিক প্রশ্ন তুলে দিল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। বাবুল সুপ্রিয়র পর কি এবার বিজেপি ছাড়তে চলেছেন আরও এক সাংসদ, উঠছে প্রশ্ন।
সম্প্রতি বিজেপির সাংগঠনিক জেলার সভাপতি মনস্পতি দেবকে সরিয়ে জাম পদদাসেতুর সভাপতি করা হয়েছে। এই ঘটনার পরেই মতুয়া ঠাকুর বাড়ির সদস্যরা ক্ষুব্ধ হন। শান্তনু ঘনিষ্ঠ ৫ বিধায়ক দলীয় বিধায়কদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে বেরিয়ে যান। এবার দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ালেন খোদ সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। যা গেরুয়া শিবিরকে অস্বস্তিতে ফেলবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
[আরও পড়ুন: কলকাতায় মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যা বেড়ে ২৫, চালু হচ্ছে ৩ সেফ হোমও]
ওই সময় মতুয়ারা অভিযোগ করেছিলেন,”ভোটের সময় মতুয়াদের ব্যবহার করা হয়। দলের সাংগঠনিক পদে তাদের বসানো হয় না।” অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘের সাধারণ সম্পাদক সুখেন্দ্রনাথ গায়েন সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন, “এখন থেকে মতুয়ারা আর কোনও রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করবে না।” সবমিলিয়ে বিজেপির অন্দরে ডামাডোল চলছিল। শান্তনু ঠাকুর হোয়াটস্যাপ গ্রুপ ছেড়ে দেওয়ায় সেই ডামাডোল আরও বাড়ল বলেই মনে করছেন বিজেপির একাংশ।
মতুয়া ঠাকুরবাড়ির প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন তাঁরা আশা করেছিলেন বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি হিসেবে মতুয়াদের মধ্যে থেকে কাউকে বসানো হবে।শান্তনু দলের কাছে সেই দাবি জানিয়েও ছিলেন। কিন্তু তারপরেও সভাপতি পরিবর্তন না হওয়ায় ক্ষুব্ধ মতুয়ারা। একইসঙ্গে ক্ষুব্ধ শান্তনুবাবুও। ঠাকুরবাড়ির প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার মতুয়া নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা সাংসদের। সেখানে বিজেপির বিধায়ক-সহ কয়েকজন নেতৃত্ব উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। বৈঠকে শান্তনু ঠাকু কী সিদ্ধান্ত নেন সেদিকে তাকিয়ে রয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব।