ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: দশ দফা দাবির মধ্যে সাতটিই পূরণ করা হয়েছে। সোমবার চিকিৎসক সংগঠনগুলির সঙ্গে বৈঠকের পর একথা জানিয়েছিলেন মুখ্যসচিব। আর মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে আর জি কর মামলার শুনানির ঠিক আগেই কলকাতার সরকারি হাসপাতাল এমআর বাঙ্গুরে চালু হয়ে গেল কেন্দ্রীয় রেফারেল সিস্টেম, যা জুনিয়র ডাক্তারদের অন্যতম প্রধান দাবি ছিল। মঙ্গলবার এই সিস্টেমের মাধ্যমে রেফারের ভিত্তিতে বাঙ্গুরে ভর্তি হলেন সোনারপুরের এক রোগী। তবে তা পরীক্ষামূলকভাবে শুরু হল বলে জানানো হয়েছে।
কী এই কেন্দ্রীয় রেফারেল সিস্টেম? এই পদ্ধতি চালু করার দাবিতে কেনই বা জুনিয়র চিকিৎসকরা এত সরব? আসলে কেন্দ্রীয় পোর্টালের মাধ্যমে রেফারেল ব্যবস্থা পরিচালিত হওয়ার কারণে স্পষ্ট ভাবে জানা যাবে, কোন হাসপাতালে বর্তমানে কতগুলি শয্যা ফাঁকা রয়েছে। তাতে বিভ্রান্তি কিংবা সমন্বয়হীনতা কমবে। সেক্ষেত্রে রোগীকে নিয়ে পরিজনেদের এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে দৌড়ে বেড়াতে হবে না। বরং নির্দিষ্ট হাসপাতালেই যেতে পারবে রোগীর পরিবার। রোগীদের সুবিধার্ধে প্রতিটি হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজে কতগুলি বেড ফাঁকা রয়েছে, তা জানানোর জন্য একটি করে ডিজিটাল মনিটর রাখতে হবে। হাসপাতালের নিরাপত্তার স্বার্থে সেই দাবিও তুলেছেন আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকরা।
আর জি করে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের ঘটনার পর থেকে জুনিয়র ডাক্তারদের একাধিক দাবির মধ্যে ছিল হাসপাতালের নিরাপত্তা সংক্রান্ত এই কেন্দ্রীয় রেফারেল সিস্টেম চালুর দাবি। তাঁদের লাগাতার আন্দোলনের জেরে এই পদ্ধতি নিয়ে কাজ শুরু করে রাজ্য সরকার। তা শেষ হওয়ার পর পরীক্ষামূলকভাবে এমআর বাঙ্গুর হাসপাতালে মঙ্গলবার চালু হল। এদিন হেল্থ ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (এইচএমআইএস) পোর্টালের মাধ্যমে বাঙ্গুর হাসপাতালে ওই রোগীর নাম নথিভুক্ত করা হয়। তার পর ওই রোগীকে দেখেন দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক। টালিগঞ্জের কাছে এই সরকারি হাসপাতালে দক্ষিণ কলকাতা ছাড়াও দক্ষিণ ২৪ পরগনার এক বিশাল অংশের মানুষ নির্ভরশীল। বহু দূর দূর থেকে রোগীরা আসেন সেখানে। তাই এখানে কেন্দ্রীয় রেফারেল সিস্টেম চালু করার বিষয়টি যথোপযুক্ত বলেই মনে করা হচ্ছে। বাকি হাসপাতালগুলিতেও তা চালু হওয়া সময়।