সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কোভিড-১৯ (Covid-19) টিকাকরণের পরিকল্পনাকে মসৃণভাবে বাস্তবায়িত করতে রাজ্যগুলিকে কমিটি গঠন করতে বলল কেন্দ্রীয় সরকার। যাতে অন্য অত্যাবশ্যকীয় চিকিৎসা পরিষেবায় বিঘ্ন না ঘটে, তা নিশ্চিত করাই সরকারের লক্ষ্য। পাশাপাশি, সোশ্যাল মিডিয়ার উপর নজরদারি করতে বলা হয়েছে। কারণ এ সম্পর্কে গুজব ছড়ালে টিকাকরণ কর্মসূচি সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মনে ভ্রান্ত ধারণা তৈরি হতে পারে।
এর আগেই কেন্দ্র জানিয়েছে, ভ্যাকসিন হাতে এলেই প্রথমে স্বাস্থ্যকর্মীদের (Health Worker) তা দেওয়া হবে। এই মর্মে রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের তরফে জেলায় জেলায় নির্দেশিকাও পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি প্রত্যেক নাগরিককে টিকাকরণ কর্মসূচির আওতায় নিয়ে আসার জন্য রাজ্যস্তরে কমিটি গঠন করতে বলেছে কেন্দ্র। কোল্ড চেন প্রস্তুতি, কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনা, ভৌগোলিক অবস্থান অনুযায়ী প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলিতে পৌঁছনোর কৌশল-সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে রাজ্যকে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, প্রত্যেককে স্টেট স্টিয়ারিং কমিটি গঠন করতে হবে। কমিটির মাথায় থাকবেন রাজ্যের মুখ্যসচিব। পাশাপাশি থাকবে একটি স্টেট টাস্ক ফোর্স, যেটির নেতৃত্ব দেবেন অতিরিক্ত মুখ্যসচিব অথবা স্বাস্থ্যদপ্তরের প্রধান সচিব। অন্যদিকে জেলাশাসকের তত্ত্বাবধানে জেলাস্তরে গড়ে তুলতে হবে ডিস্ট্রিক্ট টাস্ক ফোর্স।
[আরও পড়ুন: রাজ্যের ‘ব্যর্থতা’য় দুর্গাপুর ব্যারেজের লকগেটে ফাটল, অভিযোগ বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকারের]
বলা হয়েছে, ভ্যাকসিন (Vaccine) হাতে এসে যাওয়ার পর, তা যাতে প্রত্যেকের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়, সে বিষয়েই নজরদারি চালাবে এসএসসি। টিকাকরণে দক্ষতা বিচার করে জেলা, ব্লক, ওয়ার্ড এবং পঞ্চায়েত স্তরে দলগুলিকে স্বীকৃতি দেবে এসএসসি। এসটিএফ কোভিড টিকাকরণের পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়নে ভূমিকা নেবে। নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় আর্থিক খরচের বিষয়টি দেখভাল করবে। জেলাগুলির জন্য সময়সীমা নির্ধারণের পাশাপাশি রুটিন টিকাকরণ প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে যাবতীয় সমস্যার সমাধান করবে এসটিএফ।