সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সিবিআই (CBI) তদন্ত নিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। কেন্দ্র একতরফাভাবে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিতে পারে না। রাজ্যে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তদন্তের জন্য সংশ্লিষ্ট রাজ্যের অনুমতি বাধ্যতামূলক। এই সংস্থার তদন্তের পরিধি বাড়াতে হলেও কেন্দ্রীয় সরকারকে সেই রাজ্যের অনুমতি নিতে হবে বলে বৃহস্পতিবার জানিয়ে দিল শীর্ষ আদালত (Supreme Court)।
এ প্রসঙ্গে বলে রাখা প্রয়োজন, বাংলা-সহ বিরোধীশাসিত একাধিক রাজ্য সিবিআইকে দেওয়া সাধারণ সম্মতি বা জেনারেল কনসেন্ট প্রত্যাহার করে নিয়েছে। সে রাজ্যগুলিতে সিবিআই তদন্তে গেলে আলাদাভাবে রাজ্য সরকারের অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক। এমন আবহে শীর্ষ আদালতের এই যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই দাবি করছে ওয়াকিবহাল মহল।
[আরও পড়ুন : পাহাড় প্রমাণ দুর্নীতির অভিযোগ, শপথ নেওয়ার তিনদিনের মধ্যেই পদত্যাগ নীতীশের মন্ত্রীর]
দিল্লির বিশেষ পুলিশ আইন নিয়ে এদিন একটি মামলার শুনানি ছিল শীর্ষ আদালতে। সেই প্রেক্ষিতেই এই রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা। দিল্লির বিশেষ পুলিশ আইনে (১৯৪৬) বলা হয়েছিল, সিবিআই তদন্তের ক্ষেত্রে দিল্লি ছাড়া রাজ্যগুলির সম্মতি নেওয়া জরুরি। তবে সেই সময় কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ছিল দিল্লি। তাই সিবিআই তদন্তের ক্ষেত্রে তার সম্মতি প্রয়োজন হত না। কিন্তু দিল্লি এখন রাজ্যে রূপান্তরিত হয়েছে, তাই সেখানে তদন্তের ক্ষেত্রেও এই সম্মতি নিতে হবে সিবিআই-কে। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, রাজ্য সরকারের সম্মতি ছাড়া সিবিআই সেই রাজ্যে তদন্ত শুরু করতে পারবে না। এই অধিকার যুক্তরাষ্ট্রিয় পরিকাঠামোর সঙ্গে যুক্ত বলেও জানিয়েছেন তাঁরা।
বিরোধীরা বরাবরাই অভিযোগ তোলে কেন্দ্র সরকার ইচ্ছেমতো সিবিআইকে ব্যবহার করে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেও সিবিআইকে ব্যবহার করা হয় বলে অভিযোগ। এমন আবহে রাজ্যগুলি সুপ্রিম কোর্টের এই রায়কে যে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
[আরও পড়ুন : রাহুল-মনমোহনদের ‘অপমান’, উত্তরপ্রদেশের আদালতে ওবামার বিরুদ্ধে দায়ের অভিযোগ]
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের এলাহাবাদ হাই কোর্টের রায়ের বিরোধিতা করপে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশের দুই সরকারি আধিকারিক। তাঁদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ছিল। সিবিআই আচমকা হানা দিয়ে তাদের কারসাজি ধরে ফেলে। সেইসময় তাদের দাবি ছিল, সাধারণ সম্মতি দেওয়া থাকলেও এই ধরনের মামলার ক্ষেত্রে সিবিআইকে রাজ্যের বিশেষ অনুমতি নিতে হবে। এলাহাবাদ হাই কোর্ট তাদের সেই দাবি খারিজ করে দিয়েছিল। পালটা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় তারা।