সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এখনও স্মৃতিতে টাটকা মুম্বই হামলা। এখনও পাক জঙ্গি কাসভ ও তাদের সঙ্গীদের হত্যালীলার আতঙ্কে ভোগে দেশবাসী। ২০০৮ সালে মুম্বইয়ের সমুদ্র উপকূল থেকেই ভারতে ঢুকে পড়েছিল আজমল কাসভ। আর তারপরই হামলা চালিয়েছিল মুম্বইয়ের একাধিক জায়গায়৷ জঙ্গি সন্ত্রাসে দেড়শোরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল৷ সেসময় ক্ষমতায় ছিল দ্বিতীয় ইউপিএ সরকার৷ এখন ক্ষমতায় বদল এসেছে৷ দিল্লির মসনদে বসেছে বিজেপি৷ আগের ভয়াবহতা কাটলেও জঙ্গি সন্ত্রাস থেকে এখনও পুরোপুরি মুক্ত হতে পারেনি ভারত৷ পাক সীমান্ত থেকে জঙ্গি হানা, অনুপ্রবেশ, যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনে কোনও খামতি নেই৷ অশান্ত উত্তর-পূর্ব সীমান্তও৷ কাশ্মীর বা উত্তর-পূ্র্ব সীমান্তের পাশাপাশি দেশের সমুদ্র উপকূল থেকে যাতে জঙ্গিরা এদেশে ঢুকে সন্ত্রাস চালাতে না পারে, সেজন্য নতুন করে উপকূলীয় নিরাপত্তা বাড়াতে নয়া পদক্ষেপ নিল কেন্দ্র। আর এর জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে প্রায় ৩২ হাজার কোটি টাকা।
[১৮ হাজার ফুট উচ্চতায় তেরঙ্গা উত্তোলন, নজির দেশের এই দামাল কন্যাদের]
উপকূল ও নৌ-নিরাপত্তার দিকে লক্ষ্য রেখে দেশের সমুদ্রসীমায় সুরক্ষা বলয় তৈরি করতে উদ্যোগী কেন্দ্র৷ সেইসঙ্গে তল্লাশি, উদ্ধারের কাজ সারার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে অর্থ। এজন্যই মোট ৩১,৭৪৮ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। যার সাহায্যে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে সুরক্ষা বলয় আরও উন্নত করা হবে গোটা দেশের উপকূল জুড়ে।
নতুন করে কেনা হবে অফশোর পেট্রল ভেসেল, বোট, হেলিকপ্টার, ছোট বিমান। সম্প্রতি প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্তই নেওয়া হয়েছে। প্রতিরক্ষা সচিব সঞ্জয় মিত্র জানিয়েছেন, ২০২২ সালের মধ্যে উপকূলীয় নিরাপত্তার ভোল বদলাতে চাইছে কেন্দ্র। ১৭৫টি জাহাজ ও ১১০টি সামরিক বিমান যুক্ত হবে নৌবাহিনীতে। জোরদার করা হবে টহলদারি। যাতে চোরাচালান, পাচার, অপরিশোধিত তেল চুরির মতো ঘটনাও আটকানো যাবে।
ভারতের মোট উপকূল অঞ্চলের সীমানা ৭,৫১৬ কিমি। রয়েছে ১,৩৮২টি দ্বীপ ও উপদ্বীপ। কিন্তু এই বিশাল পরিমাণ এলাকায় টহলদারির জন্য এই মুহূর্তে কোস্ট গার্ডের ঝুলিতে রয়েছে ১৩০টি সারফেস ইউনিট। রয়েছে ১৮টি হোভারক্রাফট, ৫২টি ছোট স্পিড বোট, ৬০টি জাহাজ, ১৯টি চেতক কপ্টার ও ৪টি হালকা ওজনের ধ্রুব হেলিকপ্টার। ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রকল্পের অধীনে হিন্দুস্তান অ্যারোনোটিকস শুধু চপারই তৈরি করবে না পরিষেবা চালু করার ব্যাপারে পরিকাঠামোর উন্নতির চেষ্টা চালাবে৷ ইতিমধ্যেই নৌবাহিনী কোচিতে আইএনএস গারুদায় এএলএইচ ধ্রুব হেলিকপ্টার মোতায়েন করেছে৷ তবে সেখানে উপকূল জুড়ে ৩২টি কপ্টার যাতে তাদের পরিষেবা দিতে পারে, সেজন্য একটি ঘাঁটি তৈরি করার পরিকল্পনা রয়েছে হ্যালের৷
উপকূল রক্ষীবাহিনীর বেশ কিছু কেন্দ্রে যমজ ইঞ্জিনের হেলিকপ্টার রয়েছে, যা তল্লাশি ও উদ্ধারের কাজে সাহায্য করে থাকে৷ নৌবাহিনী চপারগুলিতে লো ফ্রিকোয়েন্সি ‘সোনার’ লাগানোর পরিকল্পনা নিয়েছে৷ এগুলি ডিআরডিও-তে আধুনিকীকরণ করা হবে৷
[ভারতীয় সেনাকর্মীদের সম্মানে অভিনব উদ্যোগ এয়ার ইন্ডিয়ার]
The post ঢেলে সাজানো হচ্ছে দেশের উপকূলরক্ষী বাহিনীকে, বরাদ্দ প্রায় ৩২ হাজার কোটি appeared first on Sangbad Pratidin.