সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভিপিএন (VPN) অর্থাৎ ভারচুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক। এটি এমন ইন্টারনেট পরিষেবা (Internet Service), যা ব্যবহার করলে আপনি কোন কোন সাইটে সার্ফিং করলেন, কোথা থেকে কী ডাউনলোড করলেন ইত্যাদি সব তথ্য়ই গোপন রাখা সম্ভব। অর্থাৎ এককথায় আপনার পরিচয় গোপন থাকবে। স্বাভাবিক ভাবেই কোনও সাধারণ ইউজার থেকে শুরু করে বড় ব্যবসায়ী সকলেই ভিপিএন-এর ভক্ত। কিন্তু এবার সেই ভিপিএন-ই সম্ভবত নিষিদ্ধ হতে চলেছে। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে এই নেটওয়ার্ককে নিষিদ্ধ করার আরজি জানিয়েছে সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
কিন্তু কেন? কেন এই নেটওয়ার্ককে নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে? মনে করা হচ্ছে, ভিপিএন ব্যবহার চালু থাকলে তা দেশের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। সংসদীয় কমিটির দাবি, সাইবার অপরাধীরা একে কাজে লাগিয়ে নতুন ষড়যন্ত্রের ফাঁদ পাততে পারে। অথচ এই পরিষেবা অনায়াসেই মেলে দেশে। তাই এটি অবিলম্বে বন্ধ করা দরকার।
[আরও পড়ুন: Telegram App থেকে কীভাবে নিখরচায় ডাউনলোড করবেন সিনেমা, চটপট জেনে নিন]
প্রসঙ্গত, ভিপিএন পরিষেবা কেবল সাধারণ ইউজাররাই ব্যবহার করেন না। বহু সংস্থাও এই পরিষেবার সাহায্যে নিজেদের কর্মীদের মধ্যো যোগাযোগ করে নিজস্ব সার্ভারের সূত্রে। রীতিমতো নামী বহুজাতিক সংস্থাগুলিও এই পরিষেবার সুবিধা নেয়। এরই পাশাপাশি বহু ইউজারই নিষিদ্ধ সাইটে ঢুকতে ভিপিএন ব্যবহার করেন। এর পিছনে অন্যতম উদ্দেশ্য অবশ্যই গোপনীয়তা অবলম্বন করা। পাশাপাশি হ্যাকারদের হাত থেকে বাঁচাও যায়। শেষ পর্যন্ত ভিপিএন পরিষেবা বন্ধ হলেও হ্যাকারদের হাত থেকে ইন্টারনেট পরিষেবাকে বাড়তি সুরক্ষা দেওয়া যাবে কিনা সেটাই দেখার।
শেষ পর্যন্ত কি সত্যিই নিষিদ্ধ হবে ভিপিএন? এখনও পর্যন্ত সরকারের তরফে অবশ্য এবিষয়ে কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি। তবে আগামিদিনে কেন্দ্র নিশ্চয়ই এব্যাপারে মুখ খুলবে বলেই মনে করা হচ্ছে।