সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জিএসটি (GST) নিয়ে বিতর্কের অবসান। ৫ রাজ্যের নির্বাচনের আগেই রাজ্যগুলির প্রাপ্য জিএসটি ক্ষতিপূরণের সিংহভাগ মিটিয়ে দিল কেন্দ্র। কেন্দ্র শুক্রবার ২৩টি রাজ্য ও তিনটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে (দিল্লি, জম্মু ও কাশ্মীর এবং পুদুচেরি) ৫,০০০ কোটি টাকার ১৭তম কিস্তি প্রদান করেছে। অর্থমন্ত্রকের দাবি, গত চার মাসে জিএসটি ক্ষতিপূরণের প্রায় ৯১ শতাংশ পরিশোধ হয়ে গিয়েছে।
এই নিয়ে গতবছরের অক্টোবর থেকে কেন্দ্র সরকার রাজ্যগুলিকে জিএসটি ক্ষতিপূরণ হিসাবে মোট ১ লক্ষ কোটি টাকা দিল। শনিবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের তরফে একটি বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, বাকি পাঁচটি রাজ্যে (অন্ধ্রপ্রদেশ, মণিপুর, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড এবং সিকিম) জিএসটি কার্যকর খাতে কোনও রাজস্ব ঘাটতি নেই। উল্লেখ্য, জিএসটি কার্যকরে রাজ্যগুলির আনুমানিক ১.১০ লক্ষ কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতির দাবি মেটাতে কেন্দ্র অক্টোবরে ব্যবস্থা চালু করে। এ যাবৎকালে কেন্দ্রের দাবি ছিল, লকডাউনের জেরে জিএসটি থেকে আয় কমেছে। কেন্দ্রেরও যথেষ্ট আয় হয়নি। তাই কেন্দ্রের পক্ষে রাজ্যগুলির ক্ষতিপূরণ করা সম্ভব নয়। বরং রাজ্যগুলি ধার করে নিজেদের এই ক্ষতিপূরণ করুক। বিজেপি-শাসিত ২১টি রাজ্য অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণের (Nirmala Sitharaman) প্রস্তাব মেনেও নিয়েছিল। কিন্তু বাংলা, কেরল, ছত্তিশগড়-সহ একাধিক রাজ্য কেন্দ্রের প্রস্তাবের বিরোধিতা করে। বরং তারা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার হুঁশিয়ারি দেয়।
[আরও পড়ুন: কর কমিয়েছে রাজ্য সরকার, দেশের অন্য প্রান্তের তুলনায় ছত্তিশগড়ে ১২ টাকা পর্যন্ত সস্তা পেট্রল]
অগত্যা অন্যপথ ধরে কেন্দ্র। তারা জানিয়ে দেয়, রাজ্যগুলির ক্ষতিপূরণ বাবদ ১.১ লক্ষ কোটি টাকা মিটিয়ে দেওয়া হবে। সেজন্য কেন্দ্র ধার করবে। তবে, এই টাকা রাজ্যগুলিকে ঋণ হিসেবে দেওয়া হবে। তাঁদের যুক্তি, কেন্দ্রের কোষাগার থেকে রাজ্যগুলির বকেয়া মেটাতে হল এই ঘাটতি অনেকটাই বাড়ত। কিন্তু ঋণ নেওয়া হলে কেন্দ্রের রাজকোষে ঘাটতি বাড়ছে না। তাঁরা আরও জানিয়েছে, রাজ্যের ক্ষেত্রে মূলধনী আয়ে এই কেন্দ্রীয় ঋণের টাকা দেখানো হবে। তবে তাতেও রাজ্যের দেনার দায় বাড়বে না। কারণ, এই ধারের সুদ বা আসল কোনওটাই তাদের পরিশোধ করতে হবে না। বরং ২০২২-এর জুলাইয়ের পরেও জিএসটি সেস বসিয়ে তা শোধ হবে।