সংবাদ প্রতিদিন ডিজিাটাল ডেস্ক: ভুয়ো খবর নিয়ে বিতর্ক আর শেষ হচ্ছে না। কয়েক বছর ধরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ফেক নিউজ (Fake news) ছড়িয়ে পড়া আটকাতে মরিয়া কেন্দ্র। গত বছর সেই বিতর্ক নতুন করে মাথাচাড়া দেয় কেন্দ্রের নয়া নীতি নিয়ে। পরে বিতর্ক ধামাচাপা পড়লেও ভুয়ো খবর ছড়িয়ে পড়া আটকাতে ফেসবুক (Facebook), গুগল কিংবা টুইটারের (Twitter) পদক্ষেপে সন্তুষ্ট নয় কেন্দ্র। এই পরিস্থিতিতে সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্টদের বৈঠকে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হল।
ঠিক কী হয়েছে বৈঠকে? সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানাচ্ছে, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের প্রতিনিধিরা ওই বৈঠকে কড়া সমালোচনা করেন ফেসবুক, গুগল, টুইটার কর্তাদের। ভারচুয়াল ওই বৈঠকে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদের তরফে কেন্দ্রের নতুন নির্দেশিকা ঠিক ভাবে মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ তোলা হয়। বলা হয়, ভুয়ো খবর সম্পর্কে পদক্ষেপের ক্ষেত্রে সংস্থাগুলির এই ধরনের নিষ্ক্রিয়তার কারণেই সরকারই বহু ক্ষেত্রে কনটেন্ট সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
[আরও পড়ুন: মায়ের মৃত্যুর ১০ দিন পরই উদ্ধার গ্রামীণ চিকিৎসকের ঝুলন্ত দেহ, ঘনাচ্ছে রহস্য]
এর ফলে আন্তর্জাতিক আঙিনায় সমালোচিত হতে হয়েছে কেন্দ্রকে। বলা হয়েছে, মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের চেষ্টা করছে মোদি সরকার। উল্লেখ্য়, গত দুই মাসে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক ‘জরুরি ক্ষমতা’ প্রয়োগ করে ইউটিউবের ৫৫টি চ্যানেল ব্লক করেছে। সরানো হয়েছে বহু টুইটার হ্যান্ডল ও ফেসবুক অ্যাকাউন্ট। তাদের বিরুদ্ধে দেশবিরোধী ও ভুয়ো খবর ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছিল।
সূত্রানুসারে, বৈঠক ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। মনে করা হচ্ছে, এর ফলে ফেসবুক, গুগল কিংবা টুইটারের মতো সংস্থাগুলির সঙ্গে সরকারের সম্পর্ক আরও খারাপ হতে পারে। গত একবছরেই এই নিয়ে নানা মতবিরোধের সৃষ্টি হয়েছিল। প্রথমে টুইটারের মতো সংস্থাগুলি বেঁকে বসলেও পরবর্তীতে নিয়ম মেনে নিতে সম্মত হয় তারা।