অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: ডোমজুড় ডাকাতি কাণ্ডেও ঘুরে ফিরে আসছে সেই গ্যাংস্টার সুবোধ সিংয়ের যোগসাজশের গল্প। তবে, প্রত্যক্ষভাবে নয়, পরোক্ষভাবে। জানা গিয়েছে, সুবোধের একসময়ের শাগরেদই ডোমজুড় ডাকাতিতে ধৃত আশাদেবী ওরফে 'চাচি'র সঙ্গী। বিহারের সমস্তিপুরের বাসিন্দা গৃহবধূ আশা মাহাতো কয়েক বছর আগে রবীন্দ্র সাহনি নামে ওই যুবকের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। এই রবীন্দ্র সাহনি একসময় সুবোধ সিংয়ের দলের হয়ে কাজ করত। 'চাচি'র সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার পর তারা দুজনে ঠিক করে সুবোধ সিংয়ের দল থেকে বেরিয়ে এসে আরও একটি ডাকাত দল তৈরি করবে। আর সেই ডাকাতদলের নেতৃত্ব দেবে রবীন্দ্র আর দলটিকে সবরকমভাবে সাহায্য করবে আশা। আশাদেবী ও রবীন্দ্র দুজনেই পুলিশের জালে ধরা পড়েছে।
বৃহস্পতিবার চাচি ও আরেক ডাকাত অলোককুমার পাঠককে হাওড়া সিটি পুলিশের গোয়েন্দারা নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার পর শুক্রবার তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করতেই এই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে পুলিশের সামনে। এই প্রসঙ্গে হাওড়া সিটি পুলিশের এক পদস্থ কর্তা বলেন, ‘‘প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, 'চাচি'র সঙ্গে ধৃত আর এক ডাকাত রবীন্দ্র সাহনির একটা বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে। তারা দুজনে মিলেই ডাকাত দলটি তৈরি করেছে।’’ ওই পুলিশ আধিকারিক আরও জানান, ডাকাতির জন্য সমস্ত ব্যবস্থা করার পাশাপাশি ডাকাতি হওয়ার পর ঠিক কোথায় সোনার ব্যাগটা রবীন্দ্রর হাতে তুলে দিতে হবে তাও ঠিক করেছিল রবীন্দ্র নিজেই।
[আরও পড়ুন: ‘বাংলায় কথা বলুন’, পুরসভার অধিবেশনে বিজেপি কাউন্সিলরের হিন্দি বুলি থামালেন ফিরহাদ]
তাই রবীন্দ্রকে বিহার থেকে ট্রানজিট রিমান্ডে হাওড়ায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই ডাকাতি হওয়া সোনার হদিশ মিলবে। মিলবে আরও একাধিক তথ্যও। এদিকে হাওড়া সিটি পুলিশের গোয়েন্দারা চাচি ও অলোককে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পেরেছেন, হাওড়ায় ডাকাতি করতে আসার আগে এ বছরের প্রথম দিকে এই দলটি বিহারের একাধিক জায়গায় যেমন বেগুসরাই, লক্ষ্মীসরাইয়ে পরপর দুটি দুঃসাহসিক ডাকাতি করে। এরপর একটি ছিনতাই করতে গিয়ে জোড়া খুন করে ফেলে দলটি। ওই ঘটনার পর বিহার পুলিশ ওই দলটিকে ধরতে মরিয়া হয়ে উঠলে দলের সকলে গা-ঢাকা দিতে চলে আসে আসানসোলে। যেখানে থাকার ব্যবস্থা করে 'চাচি'ই।