সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০১৭ সালে এই পাকিস্তানের কাছে ফাইনালে হারতে হয়েছিল। অধিনায়ক হিসাবে বিরাট কোহলির আইসিসি ট্রফি জয়ের স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে গিয়েছিল সেবার। ৮ বছর বাদে সেই বিরাট কোহলির চওড়া ব্যাটে ভর করেই মধুর প্রতিশোধ নিল টিম ইন্ডিয়া। দুবাইয়ে একপেশে ম্যাচে পাকিস্তানকে হারিয়ে নিয়ে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে ওঠা কার্যত নিশ্চিত করে ফেলল গম্ভীর ব্রিগেড। আর পাকিস্তান এখন তাকিয়ে অসম্ভবের অঙ্কে। ২৯ বছর পর ঘরের মাঠে আইসিসি ট্রফি আয়োজনের আনন্দ আজ ফিকে। কারণ সেই আইসিসি প্রতিযোগিতা থেকে পাক দলের ছিটকে যাওয়াও কার্যত নিশ্চিত।
একটা সময় ভারত-পাক ম্যাচ মানেই ছিল রুদ্ধশ্বাস লড়াই, সেয়ানে সেয়ানে টক্কর, রোমাঞ্চকর প্রতিদ্বন্দ্বিতা। কিন্তু গত কয়েক বছরে 'মাদার অফ অল ব্যাটেলে'র সেই মাধুর্য অনেকটাই ফিকে। হবে নাই বা কেন, লড়াইটা যে ক্রমশ একপেশে হয়ে যাচ্ছে। যেমনটা হল রবিবার দুবাইয়ে। ৪৫ বল বাকি থাকতে ৬ উইকেটে ম্যাচ জিতে নিল ভারত। জয়ের ভিতটা গড়ে দিয়েছিলেন বোলাররা। দুবাইয়ের পিচে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেওয়া পাক দলকে ভারতীয় বোলাররা মাত্র ২৪১ রানে বেঁধে ফেললেন। সৌদ শাকিলের ৬২, রিজওয়ানের ৪৬ এবং খুশদিলের ৩৮ রান ছাড়া, বড় রান করতে পারলেন না কোনও পাক ব্যাটার। ভারতীয়দের মধ্যে অনবদ্য বোলিং করলেন কুলদীপ যাদব(৩-৪০), হার্দিক পাণ্ডিয়ারা (২-৩১)।
২৪২ রান তাড়া করতে নেমে কোনও সময় মনেই হল না ভারতকে চাপে ফেলতে পারবে পাকিস্তান। ৩১ রানের মাথায় অধিনায়ক রোহিত শর্মা আউট হলেও দুর্দান্ত ফর্মে থাকা শুভমান গিল এবং বিরাট কোহলির উপর কোনওরকম চাপ তৈরি করতে পারেননি পাক বোলাররা। গিল ৪৬ রানে আউট হওয়ার পর শ্রেয়সের সঙ্গে জুটি বাঁধলেন বিরাট। তাঁদের জুটিই কার্যত জয়ের দোরগোড়ায় এনে দিল টিম ইন্ডিয়াকে। শ্রেয়স করলেন ৫৬ রান। আর বিরাট একেবারে ইনিংসের শেষ বলে বাউন্ডারি মেরে নিজের কেরিয়ারের ৫১ তম সেঞ্চুরিটি করে ফেললেন।
এই জয়ের ফলে ২ ম্যাচের দুটিই জিতে ৪ পয়েন্টে ভারত। নেট রান রেট +০.৬৪৭। নিউজিল্যান্ড একটি ম্যাচ খেলে একটিই জিতেছে। তাঁদের পয়েন্ট ২ এবং নেট রান রেট +১.২০০। এই জয়ের ফলে সেমিফাইনালে খেলা কার্যত নিশ্চিত ভারতের। বড় কোনও অঘটন না ঘটলে ছিটকে যাওয়ার সম্ভাবনা কম। অন্যদিকে পর পর দু ম্যাচ হেরে পাকিস্তানের সেমির স্বপ্ন কার্যত অসম্ভবের গর্ভে। পাকিস্তানকে সেমিতে যেতে হলে এবার তাকিয়ে থাকতে হবে বাংলাদেশের দিকে। একদিকে বাংলাদেশ যদি নিউজিল্যান্ডকে হারাতে পারে এবং পাকিস্তানের কাছে হারে, অন্যদিকে ভারতও যদি নিউজিল্যান্ডকে হারায়, তাহলে পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং নিউজিল্যান্ড তিন দলই ২ পয়েন্টে দাঁড়াবে। তখন লড়াইটা হবে নেট রান রেটের। তাতেও অবশ্য বাবরদের অবস্থা সঙ্গীন। সব মিলিয়ে পাকিস্তানের সেমিতে যাওয়ার সম্ভাবনা কার্যত শূন্য।