shono
Advertisement
Bangladesh Anti Reservation Movement

অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ, 'নোংরা রাজনীতির নামে রক্তপাত বন্ধ হোক', আর্জি চঞ্চল চৌধুরী, ফারুকীদের

'বাংলাদেশের ইতিহাসের এটা সবথেকে বড় গণ অভ্যুত্থান', বলছেন পরিচালক মোস্তাফা সরওয়ার ফারুকী।
Published By: Sandipta BhanjaPosted: 10:22 AM Jul 20, 2024Updated: 01:31 PM Jul 20, 2024

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কোটা বিরোধী আন্দোলনে (Anti Reservation Movement) রক্তাক্ত বাংলাদেশ (Bangladesh)। সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে সামিল শয়ে শয়ে পড়ুয়া। ইতিমধ্যেই এই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক মহল। বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা। ক্রমাগত মৃত, আহতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এমতাবস্থায় বাংলাদেশের পড়ুয়াদের মৃত্যুতে প্রাণ কাঁদছে চঞ্চল চৌধুরীর (Chanchal Chowdhury)।

Advertisement

পেশাগত কাজে কুড়ি দিন আমেরিকায় থাকার পর সম্প্রতি ঢাকায় ফিরেছেন চঞ্চল চৌধুরী। রাতে ঢাকায় ফিরেই উদ্বিগ্ন অভিনেতা। চঞ্চলের কথায়, "এই কয়দিন খবরগুলো দেখে হতবাক হয়েছি। হয়েছি শোকাহত! সমাধানের অন্য কোনও পথ কি খোলা ছিল না? গুলি কেন করতে হল? বুকের রক্ত না ঝরিয়ে সুষ্ঠু সমাধান করা যেত না? যা ঘটে গেল এটা যেমন মোটেও কাঙ্ক্ষিত নয়, বিষয়টা তেমনই হৃদয়বিদারক,মর্মান্তিক এবং সভ্যতা বর্হিভূত! আমি খুব সাধারন একজন মানুষ এবং অভিভাবক হিসেবে রাজনীতির এত এত কঠিন কৌশল বুঝি না। শুধু একটা প্রশ্ন বুঝি, তরুন তাজা যে প্রাণগুলো অকালে ঝড়ে গেল, তার দায় কে নেবে? যে মায়ের বুক খালি হল, তাঁর আর্তনাদ কি কোনও জনমে শেষ হবে? হায় রে দুর্ভাগা দেশ! নোংরা রাজনীতির নামে এই রক্তপাত বন্ধ হোক!"

[আরও পড়ুন: ‘ঝিমলির লুকে নিজেকে দেখে নির্বাক’, বহুরূপীর ‘ডিগ্ল্যাম’ চরিত্রের অভিজ্ঞতা শোনালেন কৌশানী]

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন আওয়ামি লিগ এখন বিষয়টিকে ‘সরকার বিরোধী আন্দোলন’ হিসেবে বিবেচনা করছে। বিষয়টিকে তারা শুধুই কোটা সংস্কার আন্দোলন হিসেবে দেখছে না। তাঁদের কথায়, এই ছাত্র আন্দোলনকে নেতৃত্ব দিচ্ছে বিনএনপি। এমন পরিস্থিতিতে পরিচালক মোস্তাফা সরওয়ার ফারুকীর (Mostofa Sarwar Farooki) মন্তব্য, "বাংলাদেশে কী হচ্ছে? কেমন আছি আমরা? গোটা বিশ্ব থেকে বন্ধুরা ফোন করে খোঁজ নিচ্ছে। সকলে আমাদের নিয়ে এতটা উদ্বিগ্ন, তার জন্য ধন্যবাদ। খুব অল্প ভাষায় বলতে গেলে, ছাত্রদের নেতৃত্বে বাংলাদেশের ইতিহাসের এটা সবথেকে বড় গণ অভ্যুত্থান। সংবাদমাধ্যম দেখে যা বুঝতে পারছি, ব্যাপক হারে দুর্নীতি, বৈষম্য, ভিন্নমতের নানা হতাশার জন্য এটি প্রাথমিকভাবে কোটা সংস্কার আন্দোলন হিসেবে শুরু হয়েছিল। তবে সরকার কড়া হাতে এই আন্দোলন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করতে গিয়ে পরিস্থিতি আরও মারাত্মক হয়ে ওঠে। প্রথম আলো বলছে, একদিনে ২৭ জন ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। এভাবে তরতাজা ২৭টি প্রাণ চলে গেল! সংবাদসংস্থা এএফপি অনুযায়ী, মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা শতাধিক। সরকারের নির্দেশে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকায় গোটা বিশ্ব থেকে ছিন্ন হয়ে গিয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ এর আগে এমন ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছে কিনা আমার মনে নেই। পাশাপাশি, এর থেকে সাহসী পড়ুয়া প্রজন্ম দেখেছি বলেও মনে পড়ছে না। বাংলাদেশ যেন তাড়াতাড়ি সেরে ওঠে, আপনারা সকলে এর জন্য আওয়াজ তুলুন। আর সরকার যেন 'জনগণের দ্বারা, জনগণের জন্য, জনগণের পক্ষে'-এই মন্ত্রটা মনে রাখে।"

[আরও পড়ুন: মুছলেন ‘সেনগুপ্ত’ পদবী, মনখারাপের পোস্ট! যিশু-নীলাঞ্জনার সুখের সংসারে ভাঙন?]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • বাংলাদেশের পড়ুয়াদের মৃত্যুতে প্রাণ কাঁদছে চঞ্চল চৌধুরীর।
  • বুকের রক্ত না ঝড়িয়ে সুষ্ঠু সমাধান করা যেত না?, প্রশ্ন চঞ্চলের।
  • মোস্তাফা সরওয়ার ফারুকীর মন্তব্য, 'এর থেকে সাহসী পড়ুয়া প্রজন্ম দেখেছি বলেও মনে পড়ছে না।'
Advertisement