সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঢাকা শহরের ট্রাফিক জ্যাম জগৎ বিখ্যাত। এই জ্য়ামে একবার গাড়ি ফাঁসলে মহা বিপদ। বহু লোকে একথা জানে, কিন্তু বলতে চান না কাউকে। তবে এবার ঢাকার ছেলেকে স্কুল থেকে আনতে গিয়ে জ্যামে ফেঁসে নাজেহাল অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। আর সুযোগ পেয়ে ঢাকার জ্যাম , সেই শহরের জীবনযাত্রাকে নিয়ে ফেসবুকে কলম ধরলেন। সঙ্গে লিখলেন ছোটবেলার নস্ট্যালজিয়া।
চঞ্চল চৌধুরী ফেসবুকে লিখলেন, ”বহুদিন পর তাকে স্কুল থেকে নিতে আসা….অনেক মান অভিমানের পর এই হাসি মুখ!! খুব আফসোস হয়,ছোটবেলায় আমাদের বাবা মা কোনদিনই স্কুলে আনা নেওয়া করেনি….গ্রামের স্কুল তো,দল বেঁধে সব ছেলে মেয়েরা এক সাথে,এক মাইল হেঁটে স্কুলে যেতাম আসতাম।
ঢাকা শহরের বাবা মা দের জন্য এটি একটি কঠিনতম কাজ….সন্তানকে স্কুলে আনা নেওয়া,কোচিং এ আনা নেওয়া,এই করতেই তো দিন শেষ। তারপর প্রতিদিনের অবিস্মরণীয় জ্যাম!!!! বাবা মা এর এই কষ্টটুকু যদি অন্তত: সকল সন্তান বুঝতো….তাঁরা একটু হলেও শান্তি পেতো!!! আর ঢাকা শহরে সন্তানের পড়ালেখার খরচ চালানোর ব্যাপারটা তো বলারই অপেক্ষা রাখে না॥ আমার বিশ্বাস,আমাদের বাবা মা আমাদেরকে মানুষ করার জন্য যে যুদ্ধ করেছেন,আমরা তাঁদের চেয়ে বেশি বৈকি কম যুদ্ধ করছি না,আমাদের সন্তানকে মানুষ করার জন্য। অবশ্য যে সকল অতি বিত্তশালী বাবা মা,শুধুই বাসার ড্রাইভার বা কাজের বুয়াকে দিয়ে তাঁদের সন্তানকে স্কুলে আনা নেওয়া করান,তাঁদের কথা আলাদা॥ কোন প্রতিদান চাই না কারো কাছে…..শুধু নগর পিতার কাছে প্রার্থনা, রাস্তার জ্যামটা কমানোর জন্য কি কোন আশু পদক্ষেপ নেয়া যায়??? যে কোন ভাবে,সঠিক নিয়মে ঢাকা শহরের গাড়ীগুলো চলানোর ব্যবস্থা করা যায় না??? যেহেতু প্রয়োজনীয় কর পরিশোধ করেই এই শহরে থাকি,আমার এই চাওয়াটুকু মনে হয় অহেতুক নয়॥ প্রতিদিনের জ্যামে ওষ্ঠাগত প্রাণ।”
[আরও পড়ুন: ‘আমাকে নিয়ে পাঠান তৈরি করুন’, বলিউডকে আটকাতে প্রযোকদের অনুরোধ বাংলাদেশের নায়ক জায়েদ খানের]
প্রসঙ্গত, সৃজিতের ‘পদাতিকে’ পরিচালক মৃণাল সেনের লুকে বাংলাদেশের অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরীকে দেখে ইতিমধ্যেই হইচই পড়ে গিয়েছে টলিপাড়ায়। সোশ্যাল মিডিয়াতেও এই ছবি পোস্ট হওয়া মাত্র নেটিজেনরাও প্রশংসায় পঞ্চমুখ। কিন্তু এই লুক নিয়ে কী বলছেন খোদ চঞ্চল চৌধুরী (Chanchal Choudhury)?
অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তিনি জানান, ”মৃণাল সেনের চরিত্রে অভিনয় করাটা একটা দুঃসাহসিক ব্যাপার। এই চরিত্রে অভিনয় করার জন্য সাহস থাকতে হয়। সেই সাহসটি আমার আছে কিনা এবং সেই সঙ্গে যোগ্যতা, আমার আছে কিনা সেটা বলার আগে, একজন তৃতীয় ব্যক্তি হয়ে বিষয়টা চিন্তা করলে আমার তো অবিশ্বাস্য লাগছে। তবুও দুঃসাহস নিয়ে, কাজের প্রতি একটা লোভ, স্বপ্ন থাকার কারণে এই কাজটি করা। তার উপর সৃজিত মুখোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে কাজ করা। ওর যতগুলো কাজ দেখেছি। তা দেখে সৃজিতের সঙ্গে কাজ করার ইচ্ছা ছিল।” চঞ্চলের কথায়, ”মৃণাল সেন চলচ্চিত্র জগতের একজন দিকপাল। শ্রেষ্ঠতম একজন পরিচালকের চরিত্রে অভিনয় করা মানে একটা ইতিহাসের অংশ হয়ে থাকা। ভাল-মন্দ এটা পরের বিষয়।”
[আরও পড়ুন: স্বামী আদিল জেলবন্দি, কাউকে না পেয়ে উরফিকেই চুমু রাখি সাওয়ান্তের! ভিডিও ভাইরাল]