সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্বের পঞ্চম দেশ হিসেবে চাঁদে (Moon) পা রেখেছে জাপান (Japan)। গত শনিবার এই কৃতিত্ব অর্জন করে তারা। আর ‘সূর্যোদয়ের দেশ’কে এই ইতিহাস গড়ার পথে সাহায্য করেছে ‘বন্ধু’ চন্দ্রযান ২। ইসরোর (ISRO) দ্বিতীয় চন্দ্রযানের তোলা ছবিই জাপানকে সাহায্য করেছে অবতরণের ক্ষেত্র নির্বাচন করতে।
প্রসঙ্গত, গত বছর চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পা রেখেছিল চন্দ্রযান ৩। তৈরি হয়েছিল ইতিহাস। কিন্তু চন্দ্রযান ২ মিশন কার্যত ব্যর্থই হয়েছিল। তবে আংশিক সাফল্য যে আসেনি তা নয়। ল্যান্ডারটি চাঁদের মাটিতে ঠিকমতো নামতে না পারায় মিশনের মূল্য লক্ষ্যপূরণ হয়নি। কিন্তু যানটির অর্বিটারটি এখনও কর্মক্ষম রয়েছে। আর তা চন্দ্রপৃষ্ঠের উপর দিয়ে লাগাতার উড়ে চলেছে। নিরীক্ষণ করে চলেছে চাঁদকে। পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহে বরফের সন্ধান থেকে ধাতু ও অন্যান্য উপাদানের অনুসন্ধান সংক্রান্ত জরুরি তথ্য দিয়েছে চন্দ্রযান ২ (Chandrayaan-2)। আর এর ফলে মিশনটি আপাত ব্যর্থ হয়েও আন্তর্জাতিক স্পেস মিশনগুলির জন্য ‘জরুরি’ হয়ে উঠছে। যেমন হল জাপানের ক্ষেত্রেও।
[আরও পড়ুন: অবসর ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ‘প্রত্যাবর্তন’, কী বলছেন মেরি কম?]
তবে জাপানের মহাকাশ যান ‘মুন স্নাইপার’ যতই ইতিহাস রচনা করুক, সে কিন্তু টেক্কা দিতে পারেনি ইসরোর যানের সাফল্যকে। কেননা, জাপানের চন্দ্র অভিযান মসৃণ হয়নি। চাঁদের মাটি ছুঁলেও যান্ত্রিক গোলযোগ দেখা দিয়েছে ‘মুন স্নাইপারে’। ফলে এই অভিযান কতটা সফল হবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। কেননা ‘মুন স্নাইপারে’ সৌরশক্তি পৌঁছচ্ছে না। অথচ চন্দ্রপৃষ্ঠে রুটিন কাজ করার জন্য সৌরশক্তিই ভরসা। অবিলম্বে তা ঠিক করা প্রয়োজন। না হলে চন্দ্রাভিযান শেষপর্যন্ত ব্যর্থ হবে।