দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: নরেন্দ্রপুরের (Narendrapur) বলরামপুর স্কুলে অশান্তির ঘটনায় আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও গ্রেপ্তার করা যায়নি অন্যতম অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষককে। তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে ইতিমধ্যে। তবে ওই ঘটনায় জারি ধরপাকড়। এবার স্কুল পরিচালন কমিটির সদস্য মণিজুর রহমান ও পঞ্চায়েত সদস্য অলোক নাড়ুকে গ্রেপ্তার (Arrest) করল নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ। দুজনের নামই এফআইআরে (FIR) ছিল বলে জানা গিয়েছে। এনিয়ে এই ঘটনায় গ্রেপ্তার মোট ৮ জন।
প্রায় একসপ্তাহ আগের ঘটনা। গত শনিবার, ২৭ জানুয়ারি নরেন্দ্রপুরের বলরামপুর মন্মথনাথ বিদ্যামন্দিরে হানা দেয় ৫০-৬০ জনের একটি দল। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে (Viral Video) দেখা গিয়েছে, স্কুলের টির্চাস রুমে ঢুকে শিক্ষক শিক্ষিকারদের মারধর করা হচ্ছে। ভাঙা হয় মোবাইল। মেঝেয় ছড়িয়ে কাগজপত্র। শিক্ষিকাদের কাঁদতেও দেখা গিয়েছে। স্কুলের ভিতরে কার্যত আটকে পড়েন তাঁরা। শেষপর্যন্ত নরেন্দ্রপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনা নিয়ে রিপোর্ট তলব করেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)।
[আরও পড়ুন: ‘মানুষের ভোটে জিতে ফিরবে’, কৃষ্ণনগরে দাঁড়িয়ে মহুয়ার পাশে থাকার বার্তা মমতার]
এদিকে নরেন্দ্রপুরে স্কুলে ঢুকে শিক্ষকদের মারধরের ঘটনায় পুলিশকে তুমুল ভর্ৎসনা করে হাই কোর্ট (Calcutta HC)। আদালতের নির্দেশ সত্বেও কেন কাউকে গ্রেপ্তার করা হল না, প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। পুলিশকে তাঁর প্রশ্ন, ‘‘এতদিন চোখে কাপড় বেঁধেছিলেন?” এসবের পর পুলিশ আরও তৎপর হয়। নরেন্দ্রপুরের বলরামপুর স্কুলের ঘটনায় এফআইআরে নাম থাকা শুক্রবার সকালে পঞ্চায়েত সদস্য অলোক নাড়ু এবং স্কুল পরিচালন কমিটির সদস্য মনিজুর রহমান, দুজনকে গ্রেপ্তার করল নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ। এই ঘটনায় মোট ৮ জনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ।