শুভঙ্কর বসু: কোভিড (COVID-19) রিপোর্ট নেগেটিভ, কিন্তু দুর্বলতা রয়েছে। রয়েছে পরিবহণের সমস্যাও। এসব কারণ দেখিয়ে তৃতীয়বারের জন্যও হাজিরা এড়ালেন একদা জনসাধারণ কমিটির নেতা তথা বর্তমানে তৃণমূলের রাজ্য কমিটির সম্পাদক ছত্রধর মাহাত (Chhatradhar Mahato)।
এর আগে ছত্রধরের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ থাকায় তাকে নিয়মমাফিক আইসোলেশনে থাকার নির্দেশ দিয়েছিল নগর দায়রা আদালতের বিশেষ NIA কোর্ট। বলা হয়েছিল, আজ অর্থাৎ সোমবার কোভিড পরবর্তী রিপোর্ট-সহ তাঁকে আদালতে হাজিরা দিতে হবে। কিন্তু ছত্রধর এদিন নগর দায়রা আদালতের অতিরিক্ত দায়রা বিচারককে আইনজীবী মারফত জানিয়েছেন, কোভিড রিপোর্ট নেগেটিভ হলেও তিনি যথেষ্ট দুর্বল। তাছাড়া ঝাড়গ্রাম থেকে কলকাতা পর্যন্ত আসার ক্ষেত্রে পরিবহণের সমস্যাও রয়েছে। তাঁকে ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত সময় দেওয়া হোক।
[আরও পড়ুন: বেডের আকাল, ‘বিনা চিকিৎসা’য় মৃত্যু ১৪ মাসের শিশুর, কাঠগড়ায় SSKM হাসপাতাল]
২০০৯-এর ১৪ জুন লালগড়ের ধরমপুরে খুন হন সিপিএম নেতা প্রবীর মাহাত। এরপর ওই বছরই দিল্লি-ভুবনেশ্বর রাজধানী এক্সপ্রেস ছিনতাইয়ের চেষ্টা হয়। এই দুটি ঘটনাতেই জঙ্গলমহলের তৎকালীন জনসাধারণ কমিটির নেতা ছত্রধর মাহাতর নাম উঠে আসে। তাঁর বিরুদ্ধে আগেই UAPA ধারা-সহ নিজেদের হেফাজতে নিয়ে ছত্রধরকে জেরা করার আদালতে আবেদন জানিয়েছিল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা বা এনআইএ। তাঁর হাউস অ্যারেস্টের আবেদনও জানিয়েছিলেন তদন্তকারীরা। এদিন হাজিরা এড়ানোয় এক কদম এগিয়ে ছত্রধরের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করার আবেদন জানিয়েছে NIA।
[আরও পড়ুন: ‘কোন্দল’ ঠেকাতে প্রদেশ কংগ্রেসের নতুন কমিটিতে সব পক্ষকে জায়গা দিলেন অধীর]
এক দশক পুরনো এই দুটি মামলার তদন্তভার আপাতত এনআইএ-র হাতে। সেই সূত্রেই কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে গত ২৫ ও ২৬ আগস্ট শালবনির কোবরা ক্যাম্পে ছত্রধরকে দু’দফায় ম্যারাথন জেরা করেন এনআইএর তদন্তকারী আধিকারিকরা। এরপর ছত্রধর মাহাতো-সহ ৩০ জন অভিযুক্তকে হাজিরার নির্দেশ দেয় বিশেষ আদালত। লালগড় থানার আইসি মারফত ছত্রধর ও অন্যান্য অভিযুক্তদের সেই নির্দেশ ধরানো হয়। কিন্তু কোভিড উপসর্গ থাকায় সেদিন আদালত চত্বরে উপস্থিত থেকেও বিচারকের সামনে হাজির হননি ছত্রধর। এবার রিপোর্ট নেগেটিভ হলেও আদালতে এলেন না ছাত্রধর। যদিও এদিন মুখ্য বিচারকের অনুপস্থিতিতে কোন নির্দেশই দেননি অতিরিক্ত দায়রা বিচারক। ১৬ তারিখ ফের মামলার শুনানি।