শুভঙ্কর বসু: করোনা পজিটিভ ছত্রধর মাহাতো। তাই হাজিরার জন্য তাঁকে ১৪ দিন সময় দিল বিশেষ এনআইএ আদালত। পাশাপাশি ইউএপিএ ধারা, হাউস অ্যারেস্ট-সহ ছত্রধরকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করতে আদালতে আবেদন জানিয়েছিল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা বা এনআইএ (NIA)। তাদের সেই আবেদনের শুনানিও সোমবার স্থগিত রেখেছে আদালত। ১২ অক্টোবর মামলার শুনানি হবে বলে জানিয়েছেন বিচারক।
ছত্রধরের আইনজীবী কৌশিক সিনহা এদিন জানিয়েছেন, করোনা পজিটিভ হওয়ায় স্থানীয় প্রশাসনের পরামর্শ মতো ছত্রধর মাহাতো (Chhatradhar Mahato) নিয়মমাফিক দু’সপ্তাহ হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। তাই তাঁকে হাজিরার জন্য দু’সপ্তাহ সময় দিয়েছেন বিচারক। এই মামলায় বাকি চার অভিযুক্তও যেহেতু ছত্রধরের সংস্পর্শে এসেছিলেন, তাই তাঁদেরও কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়েছে। ১২ অক্টোবর রিপোর্ট-সহ তাঁদের আদালতে হাজির হতে বলেছেন বিচারক।
[আরও পড়ুন: আনন্দপুর কাণ্ডে স্ট্রেচারে শুয়েই আদালতে গোপন জবানবন্দি দিলেন প্রতিবাদী নীলাঞ্জনা চট্টোপাধ্যায়]
২০০৯-এর ১৪ জুন লালগড়ের ধরমপুরে খুন হন সিপিএম নেতা প্রবীর মাহাতো। এরপর ওই বছরই দিল্লি-ভুবনেশ্বর রাজধানী এক্সপ্রেস ছিনতাইয়ের চেষ্টা হয়। এই দুটি ঘটনাতেই জঙ্গলমহলের তৎকালীন জনসাধারণ কমিটির নেতা ছত্রধর মাহাতোর নাম উঠে আসে। এক দশক পুরনো এই দুটি মামলার তদন্তভার আপাতত এনআইএর হাতে। সেই সূত্রেই কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে গত ২৫ ও ২৬ আগস্ট শালবনির কোবরা ক্যাম্পে ছত্রধরকে দু’দফায় ম্যারাথন জেরা করেন এনআইএর তদন্তকারী আধিকারিকরা। এরপর গত সপ্তাহে ছত্রধর মাহাতো-সহ ৩০ জন অভিযুক্তকে হাজিরার নির্দেশ দেয় বিশেষ আদালত। লালগড় থানার আইসি মারফত ছত্রধর ও অন্যান্য অভিযুক্তদের সেই নির্দেশ ধরানো হয়। কিন্তু কোভিড উপসর্গ থাকায় সেদিন আদালত চত্বরে উপস্থিত থেকেও বিচারকের সামনে হাজির হননি ছত্রধর।
সোমবার শালবনীতেও ছত্রধর এনআইএ হাজিরা এড়িয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। আরটিপিসিআর টেস্ট হলেও তাঁর রিপোর্ট জানা যায়নি। কৌশিক সিনহা সংবাদ প্রতিদিন-কে জানিয়েছেন, এনআইএ যে আবেদন জানিয়েছে তাঁর প্রেক্ষিতে তাঁরা হাই কোর্টে যাওয়ার চিন্তা-ভাবনাও করছেন। নিম্ন আদালতে বিচারের গতি প্রকৃতি দেখে এ ব্যাপারে তাঁরা সিদ্ধান্ত নেবেন।
[আরও পড়ুন: সামান্য স্বস্তি, বাংলায় ফের কমল করোনায় দৈনিক আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা]
The post কোভিড পজিটিভ ছত্রধর মাহাতো, হাজিরার জন্য ১৪ দিনের সময় দিল বিশেষ আদালত appeared first on Sangbad Pratidin.