সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ছত্তিশগড়েও (Chhattisgarh) মমতার ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’! নির্বাচনের মাঝেই সে রাজ্যের মহিলাদের বার্ষিক আর্থিক সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিল কংগ্রেস। একই প্রতিশ্রুতি শোনা গেল বিজেপি নেতৃত্বের মুখেও। যা দেখে রাজনৈতিক সমালোচকরা বলছেন, হাত ও গেরুয়া শিবিরের নেতারা মুখে যতই বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর সামাজিক কল্য়াণ প্রকল্পের নিন্দা করুন না কেন ভিনরাজ্যে ভোট টানতে হাতিয়ার মমতার সেই ‘জনমোহিনী’ প্রকল্পই।
ছত্তিশগড়ে ক্ষমতায় ফিরলে রাজ্যের সব মহিলাকে বছরে ১৫ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে কংগ্রেস। রাজ্যবাসীকে দীপাবলির শুভেচ্ছা জানানোর সঙ্গেই এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল। এর আগেই, বিজেপির তরফে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে যে রাজ্যে গেরুয়া শিবিরের সরকার হলে ছত্তিশগড়ের সমস্ত বিবাহিত মহিলাকে বছরে ১২ হাজার টাকা দেওয়া হবে।
[আরও পড়ুন: বিরল চোখের সমস্যায় স্নো লেপার্ড, সফল অস্ত্রোপচারে নজির দার্জিলিংয়ে]
উল্লেখ্য, ছত্তিশগড়ের বিধানসভা নির্বাচনের ময়দানে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী দল–বিজেপি ও কংগ্রেস বাংলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চালু করা ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পের অনুকরণে নেমেছে। বাঘেল জানিয়েছেন, কংগ্রেস নারী ক্ষমতায়নে বিশ্বাস করে। রাজ্যে তারা ক্ষমতায় ফিরলে প্রথম দিন থেকেই তারা এই ব্যাপারে কাজ শুরু করবে। চালু করা হবে ‘ছত্তিশগড় গৃহলক্ষ্মী যোজনা’।
গত ৭ নভেম্বর ছত্তিশগড়ে প্রথম দফার ভোটগ্রহণ হয়েছে। ওই দিন মাওবাদী অধ্যুষিত ২০টি আসনে ভোট হয়। বাকি ৭০ আসনের ভোট হবে আগামী ১৭ নভেম্বর। ভোটগণনা আগামী ৩ ডিসেম্বর। দ্বিতীয় দফার ভোটের আগেই নয়া প্রতিশ্রুতি বাঘেলের। তিনি এক্স হ্যান্ডেলে দীপাবলির শুভেচ্ছাবার্তায় লেখেন, “কংগ্রেস সরকার গঠন করার পরেই ছত্তিশগড় গৃহ লক্ষ্মী যোজনা’য় প্রত্যেক মহিলার অ্যাকাউন্টে সরাসরি জমা পড়বে ১৫ হাজার টাকা। প্রতি বছর এই টাকা তাঁরা পাবেন।”
[আরও পড়ুন: Basudeb Acharia: প্রয়াত বাঁকুড়ার প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ বাসুদেব আচারিয়া]
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের বাংলার বিধানসভা ভোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম মহিলাদের আর্থিক সাহায্য দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তৃতীয়বার সরকারে ফেরার পর তা তিনি বাস্তবায়িতও করেছেন। দিদি সেই প্রকল্পের নাম দিয়েছেন ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’। শেষ ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরের পর এই প্রকল্পে উপভোক্তার সংখ্যা দু’কোটি ছাড়িয়ে গিয়েছে।