সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মোবাইল আসক্তি যে ক্রমেই ভয়াবহ আকার ধারণ করছে তা আরও একবার পরিষ্কার হয়ে গেল ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) এক ঘটনায়। ১৪ বছরের এক কিশোরীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠল, নিজের ১৮ বছরের দাদাকে খুন করার। তার 'অপরাধ' বোনকে মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে না দেওয়া! তাই ঘুমন্ত সহোদরের গলায় কোপ মেরে খুন করেছে ওই কিশোরী, অভিযোগ তেমনই। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনের সূত্রে জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের পর সে নিজের অপরাধ কবুলও করে নিয়েছে।
জানা গিয়েছে, ঘটনার সময় বাড়িতে ভাইবোন ছাড়া কেউই ছিল না। সেই সময় দাদার সঙ্গে বচসা শুরু হয় বোনের। দাদার অভিযোগ ছিল, ওই কিশোরী ফোনে ছেলেদের সঙ্গে কথা বলে। বোনকে বকাঝকাও করে সে। বার বার বারণ করে মোবাইল ব্যবহার না করতে। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে অভিযুক্ত কিশোরী। অভিযোগ, এর পরই দাদাকে খুনের ছক কষে সে। খানিক পরে ঘুমন্ত দাদার গলায় দা দিয়ে কোপ মেরে তাকে খুন করে। এখানেই শেষ নয়। পুলিশের দাবি, কিশোরী নাকি খুনের পর ঠান্ডা মাথায় বাথরুমে গিয়ে স্নানও করে। পরে নিজের পোশাকে লেগে থাকা রক্তের দাগ ধুয়ে পরিষ্কার করে। এর পর প্রতিবেশীদের কাছে গিয়ে বলে কে যেন তার দাদাকে খুন করেছে।
[আরও পড়ুন: ন’ঘণ্টা অপেক্ষার পরও ট্রেনের দেখা নাই, কলকাতা-হাওড়া স্টেশনে বিক্ষোভ]
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ। জানা গিয়েছে, জেরার মুখে ভেঙে পড়ে কিশোরী স্বীকার করে সেই খুনি। তার বিবৃতি রেকর্ড করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই এফআইআর দায়ের করে পরবর্তী তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় কিশোরীর সঙ্গে আর কেউ ছিল কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে তাও।