দীপঙ্কর মণ্ডল: রাজ্যের আরও এক বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য় পদে বসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (Aliah University) আলিয়া-ই-জামিয়া পদ থেকে রাজ্যপালকে অপসারণ করে মুখ্যমন্ত্রীকে বসাতে চায় রাজ্য। সেই উদ্দেশে বৃহস্পতিবার বিল পাশ হল বিধানসভায়।
এদিন বিধানসভায় বিলটি পেশ করেন সংখ্যালঘু মাদ্রাসার উন্নয়ন দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী গোলাম রব্বানি। বিল নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিল বিরোধী দল বিজেপি। কিন্তু ভোটাভুটি হলে বিরোধীদের হার নিশ্চিত ছিল। তাই এদিন আর সেই পথে হাঁটেনি বিজেপি। ফলে ধ্বনি ভোটেই পাশ হয়ে যায় বিলটি। এই বিলে আচার্য বদলের পাশাপাশি রিডার এবং লেকচারারদের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসরের মর্যাদা দেওয়া হল।
[আরও পড়ুন: অস্বাভাবিক শারীরিক চাহিদা স্ত্রীর, দিন-রাত সঙ্গমে বাধ্য করেন, ডিভোর্স দিলেন স্বামী]
২০ তারিখ মন্ত্রিসভার বৈঠকে আরও একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়। রাজ্যের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো আলিয়াতেও আচার্য পদে রদবদল ঘটানো হবে। রাজ্যপালের বদলে এই পদে বসবেন মুখ্যমন্ত্রী। মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই প্রস্তাবও গৃহীত হয়েছে। প্রসঙ্গত, রাজ্যপালের ক্ষমতা খর্ব করার পথে হাঁটছে রাজ্য সরকার। বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদ থেকে সরানো হচ্ছে রাজ্যপালকে। ইতিমধ্যে এই সংক্রান্ত বিলও পাস হয়েছে বিধানসভায়। যদিও রাজ্যপালের সম্মতি এখনও মেলেনি।
নিয়ম মেনে বিল পাঠানো হবে রাজ্যপালের কাছে। কিন্তু তিনি আগে জানিয়েছিলেন বিলে স্বাক্ষর করবেন না। তবে পরে তিনি জানিয়েছেন, বিল যাচাই করে দেখবেন। যদি তিনি স্বাক্ষর না করেন সেক্ষেত্রে বিলটি ফের বিধানসভায় ফেরত আসতে পারে। তার পর তা আরও একবার রাজ্যপালের কাছেই যাবে। যেহেতু শিক্ষা সংবিধানের যুগ্মতালিকায় রয়েছে, তাই বিলটি কেন্দ্রের কাছে পাঠিয়ে দিতে পারেন তিনি। তাই বিধানসভায় বিল পাশ হলেও এখনই রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য পদে বসতে পারছেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
[আরও পড়ুন: বিয়েবাড়ি থেকে ফেরার পথে বিপত্তি, দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল এক শিশু-সহ ৪ জনের]