সুকুমার সরকার, ঢাকা: ফের বাংলাদেশে আকাশছোঁয়া দাম কাঁচা লঙ্কার। যা কিনতে রীতিমত বাজারে হাত পুড়ছে আমনজতার। ঢাকার বাজারে কাঁচা লঙ্কা প্রতি কেজি ৪০০ টাকা। অভিযোগ, অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে ঢাকা-সহ বাংলাদেশে সবখানেই বেড়েই চলেছে কাঁচালঙ্কার দাম।
জানা গিয়েছে, ছোট জাতের দেশীয় কাঁচা লঙ্কা বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকা কেজিতে। তবে হাইব্রিড লঙ্কা বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকায়। গত বছরও হঠাৎ করে কাঁচা লঙ্কার দাম তরতরিয়ে প্রতি কেজি ৮০০ টাকায় উঠে যায়। পরে পশ্চিমবঙ্গ থেকে আমদানি করে দাম কিছুটা কমানো হয়। তবে অন্য সবজি কলকাতার বাজার দরেই বিক্রি হচ্ছে দেশে। এর মধ্যে কাঁকরোল প্রতি কেজি ৮০ টাকায়, গোল বেগুন ৮০ টাকা, লম্বা বেগুন ৬০ টাকা, পেঁপে ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমরো ৪০ টাকা, লতি ৬০ টাকা, ঝিঙ্গা ৬০ টাকা,করলা ৮০ টাকা, পটল ৫০ থেকে ৬০ টাকা, গাজর ৮০ টাকা, কচুর মুখি ১০০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৫০ থেকে ৭০ টাকা, লেবু প্রতি হালি ৬০ টাকা এবং ঢেঁড়স প্রতি কেজি ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: মায়ানমার থেকে মুহুর্মুহু ছুটে আসছে গুলি! রাষ্ট্রসংঘে পড়শি দেশের বিরুদ্ধে সরব ঢাকা]
বকরি ইদের ছুটি শেষে ঢাকায় ফিরে রাজধানীর মালিবাগ কাঁচা বাজারে কাঁচা লঙ্কা কিনতে গিয়ে রীতিমতো বিস্মিত হয়েছেন সোহান আহমেদ নামে এক চাকুরিজীবী। বাজারে তাঁর কাছ থেকে প্রতি কেজি কাঁচা লঙ্কা ৪০০ টাকা চাওয়া হয়েছে, আর হাইব্রিড লঙ্কার দাম চাওয়া হয়েছে ৩২০ টাকা। সোহান আহমেদ বলেন, কাঁচা লঙ্কার দাম যে এতটা বেড়ে গিয়েছে আমার কোনও ধারণাই ছিল না। হঠাৎ করেই ইচ্ছে মতো দাম বাড়িয়েছেন বিক্রেতারা।
তবে ফের হঠাৎ কেন বাড়ল কাঁচা লঙ্কা দাম? উত্তরে মহাখালী কাঁচা বাজারের বিক্রেতা শামসুর রহমান বলেন, "পাইকারি বাজারে কাঁচা লঙ্কার দাম আগের তুলনায় অনেক বেশি। বাজারে সরবরাহ কম, পাইকারি বাজারেই আমাদের অতিরিক্ত বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে। সে কারণে সেই প্রভাব এসে পড়েছে খুচরো বাজারে।" কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী আলমগির হোসেনের কথায়, একে ইদের সময় থেকে এখন পর্যন্ত রাস্তায় যানজট , ট্রাকে করে পরিবহণ করার ভাড়া অনেক বেশি, সে কারণে ঢাকায় কাঁচা লঙ্কার দাম তুলনামূলক বেড়ে গিয়েছে।