সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দক্ষিণ চিন সাগরের উপর চিনা যুদ্ধবিমানের টহলদারি নতুন করে ওই বিতর্কিত এলাকায় উত্তেজনা বাড়িয়ে দিল। বেজিং জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার চিনা বায়ুসেনার ফাইটার জেট এইচ-৬কে বম্বার বিমান পেট্রলিং করে দক্ষিণ-চিন সাগর ও লাগোয়া এলাকায়। চিন এই টহলদারিকে ‘রুটিন’ বলে দাবি করলেও সে কথা মানতে নারাজ আন্তর্জাতিক সমর বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলছেন, ওই এলাকায় মার্কিন দাদাগিরি রুখে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে কড়া বার্তা দিলেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
[বিশ্বের সর্বত্র আঘাত হানতে সক্ষম তাদের মিসাইল, দাবি চিনের]
পিপলস লিবারেশন আর্মি বা লালফৌজ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, দক্ষিণ চিন সাগরে তাদের বায়ুসেনার রুটিন টহলদারি চলেছে।কিন্তু সমর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টহলদারি চলেছে চিন বিরোধী একাধিক প্রতিবেশী দেশগুলির জলসীমান্তেও। যে আকাশপথ চিনা বোমারু বিমান উড়ে গিয়েছে তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের। নির্ধারিত রুটের বদলে বৃহস্পতিবার চিনা বিমান ফিলিপাইনস ও তাইওয়ানের বাণিজ্যিক জলসীমা বশি চ্যানেলের খুব কাছ দিয়ে উড়ে যায়। এই জলসীমা নিয়ে চিনের সঙ্গে প্রতিবেশীদের প্রবল বিরোধ রয়েছে। চিন কিছুতেই একে তাইওয়ানের বলে মানতে রাজি নয়।
তবে এই বশি চ্যানেলের চিন ও তাইওয়ান ছাড়াও দক্ষিণ চিন সাগরে বাণিজ্যের নিরিখে অনেকের কাছেই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই এলাকায় সমুদ্রের নিচে রাশি রাশি ‘আন্ডারসি কেবল নেটওয়ার্ক’ ছড়িয়ে রয়েছে। টেলিফোন ও ইন্টারনেট সংযোগের জন্য তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শুধু বশি চ্যানেলই নয়, চিনা যুদ্ধবিমান ‘মিয়াকো স্ট্রেট’-এর খুব কাছেও টহল দিয়ে গিয়েছে। জাপানের ওকিনাওয়া ও মিয়াকো দ্বীপ দু’টি এই জলপথেই একে অপরের সঙ্গে যুক্ত। তাই চিনের এই পদক্ষেপে আতঙ্কিত টোকিওও-। প্রশান্ত মহাসাগরের ওই এলাকা বাণিজ্যের জন্য বিখ্যাত। বিভিন্ন দেশের প্রায় ৩২টি সেনাঘাঁটি রয়েছে সেখানে। মিয়াকো স্ট্রেটের খুব কাছেই জাপানের সেনকাকু দ্বীপ। এই দ্বীপকেও নিজেদের বলে দাবি করে। চিনা বোমারু বিমানে সুপারসনিক ল্যান্ড অ্যাটাক ক্রুজ মিসাইলও মজুত ছিল। বেজিংয়ের এই বক্তব্যের পরই টহলদারি নিয়ে প্রতিবেশী দেশগুলির মধ্যে উত্তেজনা আরও বেড়েছে।
[ডোনাল্ড ট্রাম্পকে মৃত্যুদণ্ডের ‘নির্দেশ’, প্রবল চাঞ্চল্য পেন্টাগনে]
The post দক্ষিণ চিন সাগরের উপর টহল দিচ্ছে চিনা যুদ্ধবিমান, তুঙ্গে উত্তেজনা appeared first on Sangbad Pratidin.