সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চাঁদে (Moon) স্পেস স্টেশন তৈরি করবে রাশিয়া (Russia) ও চিন (China)। এবিষয়ে দুই দেশের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। রাশিয়ার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ‘রসকমস’-এর তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ওই চুক্তির ব্যাপারে। চিনের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা সিএনএসএ-র সঙ্গে ওই চুক্তিতে বলা হয়েছে, চাঁদের মাটি ও কক্ষপথ, উভয় স্থান মিলিয়েই অবস্থান করবে স্পেস স্টেশনটি। এদিকে চিনের তরফেও জানানো হয়েছে, এই প্রোজেক্টে সমস্ত আগ্রহী দেশকে তারা স্বাগত জানাচ্ছে।
এই স্পেস স্টেশন দুই দেশের মহাকাশ অভিযানের ইতিহাসেই গুরুত্বপূর্ণ জায়গা করে নেবে বলে মনে করা হচ্ছে। মহাকাশে প্রথম মানুষ পাঠিয়েছিল রাশিয়া। সেই ঘটনার ষাট বছর পূর্ণ হচ্ছে এবছরই। একসময় মহাকাশে দুই দেশের টক্কর ছিল তৎকালীন ঠান্ডা যুদ্ধের এক উত্তেজনাময় অধ্যায়। প্রাথমিক ভাবে রাশিয়ার পাল্লা ভারী হলেও পরে ক্রমশ আমেরিকা তাতে এগিয়ে যায়। বিশেষ করে চাঁদে প্রথম মানুষের পা রাখার ঘটনায় পিছিয়ে পড়তে থাকে রাশিয়া। সেই হৃত গৌরব ফিরে পেতে এবার মরিয়া পুতিনের দেশ। কেবল আমেরিকাই নয়, চিনও তাদের পিছনে ফেলেছে বিগত কয়েক বছরে।
[আরও পড়ুন: সমুদ্রের তীরে উদ্ধার অতিকায় প্রাণীর দেহ! রহস্য ঘনাচ্ছে ২৩ ফুটের ‘দানব’ শরীর ঘিরে]
অন্যদিকে চিন যে বিশ্বের দরবারে আমেরিকার যোগ্য প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠেছে তা বোঝাতে তারাও চাইছে মহাকাশ গবেষণায় আরও আধিপত্য বিস্তার করতে। সম্প্রতি বেজিংয়ের মঙ্গল অভিযানই তার প্রমাণ। গত ফেব্রুয়ারিতে লালগ্রহের কক্ষপথে প্রবেশ করেছে চিনের মঙ্গলযান তিয়ানওয়েন-১ (Tianwen-1 )। মঙ্গল অভিযান নিয়ে অত্যন্ত উচ্চাশা রয়েছে চিনের। দেশের মহাকাশ গবেষণা সংস্থার কর্তা চি ওয়াংয়ের দাবি, তাদের এই মিশনই এপর্যন্ত মঙ্গলে যত অভিযান হয়েছে, তার মধ্যে সেরা হতে চলেছে। সৌরজগতের চার নম্বর গ্রহের আবহাওয়া, ভূপৃষ্ঠ থেকে শুরু করে খুঁটিনাটি বিষয়ে তারা পর্যবেক্ষণ চালাবে বলে দাবি তাঁর। তার ফলে লালগ্রহ সম্পর্কে আরও নতুন তথ্য জানা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে চাঁদে স্পেস স্টেশন তৈরির পরিকল্পনা বেজিংকে মহাকাশ অভিযানে আমেরিকার সমতুল করে তোলার পথে অনেকটাই এগিয়ে দেবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।