সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রেসিডেন্ট না বদলালেও বদলে গেল চিনের প্রিমিয়ার। তৃতীয়বার ক্ষমতায় ফিরেই প্রেসিডেন্ট জিনপিং নিজের ঘনিষ্ঠ লি কিয়াংকে আনলেন প্রিমিয়ার পদে। শনিবার চিনের পার্লামেন্টে ভোটাভুটিতে কার্যত একপেশেভাবেই জয় পেয়েছেন লি কিয়াং। আগামী ৫ বছর চিনের প্রিমিয়ার বা প্রধানমন্ত্রী পদে থাকবেন তিনি।
এদিন পার্লামেন্টে ভোটাভুটিতে দেখা যায়, লি কিয়াংয়ের পক্ষে ভোট পড়েছে ২ হাজার ৯৩৬টি। বিপক্ষে মোটে ৩টি ভোট পড়ে। ৮ জন ভোটাভুটি থেকে বিরত ছিলেন। পূর্বসূরি লি কেকিয়াংকে সরিয়ে প্রিমিয়ার পদে বসছেন তিনি। ওয়াকিবহাল মহল বলছে, তাঁর সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ কোভিড বিধ্বস্ত অর্থনীতিকে চাঙ্গা করা। বেজিংয়ের আর্থিক বৃদ্ধির হার ঊর্ধ্বমুখী করা। যদিও ব্যবসায়ী মহল মোটেও খুশি নয় লি কিয়াংকে নিয়ে।
[আরও পড়ুন: কাশ্মীর সমস্যার ‘ভিলেন’ কি নেহরুই? ইতিহাসের গোপন নথি দেয় ‘অন্য’ ইঙ্গিত]
সাংহাইয়ে কোভিড (Covid) সংক্রমণ বাড়তে থাকায় ব্যাপক কড়াকড়ি শুরু করেছিল চিনের প্রশাসন। কঠোর নীতি প্রণয়নের নেপথ্য নায়ক ছিলেন কিয়াং। যার পর থেকে তাঁকে নিয়ে ক্ষুব্ধ সে দেশের মানুষ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যাঙ্কার বলেছেন, এই নিয়োগ ঘিরে একেবারেই অখুশি চিনের ব্যবসায়ী মহল। লি কিয়াংয়ের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ, চিনের নিয়মকে পাশ কাটিয়ে অনৈতিক ভাবে প্রিমিয়ার (China Premier) পদে বসতে চলেছেন তিনি। শুধুমাত্র জিনপিংয়ের সঙ্গে ঘনিষ্টতার সুবাদেই দেশের অন্যতম শীর্ষ পদে বসছেন, এমনটাই দাবি রাজনৈতিক মহলের।
প্রসঙ্গত, পাম্পিং স্টেশনের শ্রমিক হিসেবে কর্মজীবন শুরু কিয়াংয়ের। চিনা কমিউনিস্ট পার্টির শ্রমিক শাখার কাজ করেছেন তিনি। পুরস্তরে রাজনীতিতে প্রবেশ তাঁর। ২০১৭ সাল থেকে সাংহাই শহর কমিউনিস্ট পার্টির সম্পাদকের পদে ছিলেন তিনি। জিনপিংয়ের ‘চিফ অব স্টাফ’ও ছিলেন তিনি। ২০১২ সালে জিনপিং প্রেসিডেন্ট এবং কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পরে কিয়াংকে ঝেজিয়াং প্রদেশের গভর্নর নিযুক্ত করেন। সেখান থেকে জিনপিং ঘনিষ্ঠতার সুবাদে সটান চিনের প্রিমিয়ার পদে বসলেন লি কিয়াং।