সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতের উদ্বেগ বাড়িয়ে বিতর্কিত প্যাংগং হ্রদ (Pangong Tso lake) এলাকায় আরও একটি সেতু বানাচ্ছে চিন। যাতে প্রয়োজনে ভারত-চিন সীমান্ত এলাকায় দ্রুত সেনা পাঠাতে পারে বেজিং (Beijing)। সম্প্রতি উপগ্রহ চিত্রে এমনটাই ধরা পড়েছে। চিনা সেতু নিয়ে ভারতীয় সেনার কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
প্যাংগং হ্রদ এবং তৎসংলগ্ন এলাকা নিয়ে ভারত-চিনের মধ্যে গত ২ বছর ধরে সমস্যা চলছে। গালওয়ান সংঘর্ষের পরই প্যাংগং হ্রদের দক্ষিণ দিকের স্ট্র্যাটেজিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ একাধিক শৃঙ্গ দখল করেছে ভারতীয় সেনা (Indian Army)। এর পরই চিন ওই এলাকায় পরিকাঠামো তৈরিতে জোর দিয়েছে।
[আরও পড়ুন: চূড়ান্ত সময়সীমা পেরলেও নিজাম প্যালেসে এলেন না পরেশ অধিকারী, এফআইআর করল CBI]
ইতিপূর্বে প্রয়োজনীয় সমরাস্ত্র এবং সেনা দ্রুত প্যাংগং এলাকায় পৌঁছে দিতে একটি সেতু বানিয়েছিল বেজিং। এবার তার চেয়েও অধিক চওড়া এবং শক্তিশালী সেতু তৈরির কাজ প্রায় শেষ করেছে বেজিং। এমনটাই ধরা পড়েছে উপগ্রহ চিত্রে। সম্প্রতি প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (LAC) থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে একটি সেতু তৈরির কাজ শেষ করেছে বেজিং। সেই কাজ শেষ হতে না হতেই ফের আর একটি সেতু তৈর করতে শুরু করল তারা। যা নিশ্চয়ই তাৎপর্যপূর্ণ। এর পর ভারত কী পদক্ষেপ করে সেটার দিকে তাকিয়ে ওয়াকিবহাল মহল।
১৬ জানুয়ারিতে তোলা উপগ্রহ চিত্রে দেখা গিয়েছে নির্মাণকর্মীরা বড়সড় ক্রেনের সাহায্যে সেতুর থামের ওপরে কংক্রিটের স্ল্যাব বসানোর কাজ করছেন। ভারত সীমান্তের প্যাংগং হ্রদের ওপরে ৪০০ মিটার দীর্ঘ সেতু তৈরি করছে চিন। প্রস্থ হচ্ছে ৮ মিটার। সেতুটির একটি প্রান্ত শেষ হচ্ছে লাদাখ সীমান্তে চিনা সেনা ছাউনির খুব কাছে। তবে সেতুটি নির্মাণ হলে লাদাখ সীমান্তের নিকটবর্তী চিনের রুটোগের (Rutog) সঙ্গে দ্রুত সংযোগ তৈরি করতে পারবে চিনা সেনা। যেখানে রয়েছে মূল সেনা ঘাঁটি। বর্তমানে রুটোগে পৌঁছতে ঘুর পথে ২০০ কিলোমিটার অতিক্রম করতে হয়। সেতু নির্মাণ সম্পূর্ণ হলে তা ১৫০ কিলোমিটারে কমে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।