সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতের সঙ্গে ‘সীমান্ত যুদ্ধ’ শুরু করে দিয়েছে চিন (China)। এমনটাই চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন রিপাবলিকান মার্কিন সেনেটর জন কারনাইন। শুধু তাই নয়, পড়শি দেশগুলির জন্য বিপদ হয়ে দেখা দিয়েছে কমিউনিস্ট দেশটি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
[আরও পড়ুন: জুড়বে লাদাখ ও শ্রীনগর, চিনকে চাপে ফেলতে জোজি লা টানেলের কাজ দ্রুত শেষ করবে কেন্দ্র]
সম্প্রতি সেনেটর জন কারনাইনের নেতৃত্বে ভারতে আসে মার্কিন প্রতিদিন দল। রাজধানী দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে একাধিক বিষয়ে আলোচনা হয় তাঁদের। সূত্রের খবর, ওই আলোচনা লাদাখে চিনা আগ্রাসনের বিষয়টিও উঠে আসে। সফরকালে ভারতের পাশাপাশি এশিয়ার একাধিক দেশে যান তিনি। ওই অঞ্চলের বর্তমান পরিস্থিতির বিষয়ে সেনেটে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কারনাইন বলেন, “চিনের সঙ্গে যে সমস্ত দেশ সীমান্ত ভাগ করেছে তারা বিপদে রয়েছে। ভারতের সঙ্গে সীমান্ত যুদ্ধ শুরু করে দিয়েছে চিন। শুধু তাই নয়, তাইওয়ানে হামলা চালানোর হুমকি দিচ্ছে দেশটি। আন্তর্জাতিক জলরাশিতে নৌ পরিবহণে বাধা দিচ্ছে চিন। আমরা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে চিন থেকে উৎপন্ন হওয়া বিপদ নিয়ে আলোচনা করেছি।”
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ১৫ জুন গালওয়ান উপত্যকায় ভারতের জমিতে ঢুকে পড়ে চিনা ফৌজ। ফলে শুরু হয় লড়াই। দু’পক্ষের জওয়ানরাই লোহার রড ও কাঁটাতার জড়ানো হাতিয়ার নিয়ে বেশ কয়েক ঘণ্টা লড়াই করে। রক্তক্ষয়ী সেই সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় জওয়ান শহিদ হন। ১৯৭৫ সালের পর এই প্রথম প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের পরেই সীমান্তে কার্যত যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়। অবশেষে পরিস্থিতি শান্ত করতে কয়েক দফা আলোচনায় বসে দুই দেশের সেনাবাহিনী। তবে তাতে আঁচ কিছুটা কমলেও উত্তেজনা পুরোপুরি কমেনি।
কয়েকদিন আগেই ভারতের বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, সীমান্তে চিনের গতিবিধি উসকানিমূলক। একতরফা ভাবে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় বদল ঘটাতে চাইছে চিনা সেনাবাহিনী। ফলে ওই অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতাবস্থা নষ্ট হচ্ছে। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি স্পষ্ট ভাষায় জানান যে, পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় বিশাল ফৌজ মোতায়েন করেছে চিন। ফলে প্রতিরক্ষার স্বার্থে পালটা সৈন্য মজুত রাখতে হয়েছে ভারতকে।