সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নতুন ম্যাপ প্রকাশ করে অরুণাচল প্রদেশ ও আকসাই চিনকে নিজেদের বলে দাবি করেছে চিন। ফলে বেজিংয়ের সঙ্গে নয়াদিল্লির সংঘাত আরও তীব্র হয়েছে। জিনপিং প্রশাসনের নিন্দায় সরব হয়েছে মোদি সরকার। এবার ভারতকে পালটা জবাব দিল চিন। তাদের সাফ কথা, নতুন ম্যাপ নিয়ে এত ভাবার কিছু নেই। যা হয়েছে তা সার্বভৌম দেশের আইন ও বৈধ ভৌগলিক বিস্তার মেনেই হয়েছে।
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, ২৮ আগস্ট দেশের নতুন সরকারি ম্যাপ প্রকাশ করেছে চিন। সেখানে অরুণাচল প্রদেশকে নিজের বলে দাবি করেছে তারা। এমনকী আকসাই চিনও নাকি তাদের, দাবি বেজিংয়ের। শুধু তাই নয়, গোটা দক্ষিণ চিন সাগর ও তাইওয়ানকেও মূল চিনা ভূখণ্ডের অংশ হিসেবে দেখানো হয়েছে। ওই ম্যাপগুলিতে অরুণাচলকে ‘দক্ষিণ তিব্বত’ বলে দাবি করেছে চিন। এবং তা চিনের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ বলেও দাবি করছে চিনা বিদেশমন্ত্রক৷
[আরও পড়ুন: আকসাই চিনে সুড়ঙ্গ তৈরি করছে লালফৌজ! নয়া ছবি ঘিরে চাঞ্চল্য]
চিনের এমন দাবির পরই কড়া প্রতিক্রিয়া দেয় ভারত। এইরূপ ম্যাপ প্রকাশই চিনের অভ্যাস বলে কটাক্ষ করেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। নয়াদিল্লির বেজিংকে তোপ দাগার পরই নিজেদের প্রতিক্রিয়া জানায় কমিউনিস্ট দেশটি। বুধবার চিনের বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে,”আমরা আমাদের ভূখণ্ডের সীমানা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। আইন মেনেই নতুন ম্যাপ তৈরি করা হয়েছে। এই নিয়ে বেশি ভাবার কোনও কারণ নেই।” নিজেদের বক্তব্যে চিন সরাসরি ভারতের নাম উল্লেখ না করলেও তাদের নিশানা মোদি সরকারের দিকেই।
প্রসঙ্গত, দক্ষিণ আফ্রিকায় সদ্য সমাপ্ত ব্রিকস সামিটে জিনপিংয়ের সঙ্গে আলোচনায় বসেন মোদি। দুই রাষ্ট্রপ্রধানের বৈঠক নিয়ে ভারতের বিদেশ সচিব বিনয় কোয়াত্রা জানান, জিনপিংকে সাফ বার্তা দিয়েছেন মোদি। নিয়ন্ত্রণরেখায় শান্তি বজায় রাখা কতটা দরকার, সেই বিষয়ে বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী জিনপিংকে বলেছেন, ভারত ও চিনের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য নিয়ন্ত্রণরেখার সম্মান ধরে রাখা জরুরি। লাদাখে সীমান্ত সংঘাতের আবহে আগামী সেপ্টেম্বর মাসে দিল্লিতে হতে চলা জি-২০ সামিটেও আলোচনার টেবিলে দেখা যাবে দুই রাষ্ট্রপ্রধানকে। তার আগেই ফের সংঘাতের পারদ চড়ছে দু’দেশের মধ্যে।