সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফাঁস হল চিনের (China) দু’মুখো নীতি। একদিকে বেজিং যেখানে সীমান্ত সমস্যা মেটাতে বৈঠকে বসার কথা জানাচ্ছে, অন্যদিকে তেমনই আবার প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (LAC) বরাবর লাগাতার সৈন্যসংখ্যা বাড়িয়ে চলেছে। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে একটি রিপোর্টকে উদ্ধৃত করে জানানো হয়েছে, গত ছ’মাসে শতাধিকবার প্রকৃত সীমান্তরেখা বরাবর মহড়া চালিয়েছে লালফৌজ। তাতে প্রত্যেকবারই যোগ দিয়েছে হাজারেরও বেশি চিনা সেনা (Chinese Army)। যদিও চুপ নেই ভারতও। সূত্রের খবর, দিল্লিও গত কয়েকমাসে উত্তর-পূর্ব সীমানায় আরও বেশি সেনা পাঠিয়েছে।
জানা গিয়েছে, চলতি বছরের শুরুতে প্যাংগং লেক থেকে সেনা সরানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয় চিন এবং ভারত। কিন্তু সীমান্তে সংঘাতের অন্য কেন্দ্র থেকে সেনা সরানো তো দূর বরং আরও বেশি করে সৈন্য সমাবেশ করে চলেছে বেজিং। গালওয়ান উপত্যকা-সহ একাধিক জায়গায় গত ছ’মাসে শতাধিকবার সেনা মহড়া সেরেছে চিন। আর প্রত্যেকবার তাতে হাজারেরও বেশি সৈন্য অংশ নিয়েছে। মূলত নিজের অধীনে থাকা তিব্বতে এই সেনা মহড়া চালিয়েছে ভারতের প্রতিবেশী দেশটি। কঠিন আবহাওয়ায় নিজেদের সেনাবাহিনীকে যুদ্ধের কৌশল রপ্ত করানোর জন্য এই মহড়া চিনের। এদিকে, সম্প্রতি আবার তিব্বতের লাসার সঙ্গে বেজিংকে রেলপথেও যুক্ত করা হয়েছে। যার ফলে সহজেই ভারত সীমান্তে সেনা পাঠাতে সক্ষম বেজিং। এই পরিস্থিতিতে এই সেনা মহড়া নিয়ে রীতিমতো উদ্বেগে নয়াদিল্লি।
[আরও পড়ুন: আট মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর তাইগ্রেতে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করল ইথিওপিয়া]
যদিও চুপ করে বসে নেই ভারতও। ইতিমধ্যে চিন সীমান্তে ভারত আরও ৫০ হাজার সেনা মোতায়েন করেছে বলে খবর। সংবাদসংস্থা ব্লুমবার্গের তথ্য অনুযায়ী, গত কয়েকমাসে ভারত-চিন সীমান্তের তিনটি এলাকায় সেনা মোতায়েন করেছে নয়াদিল্লি। সবমিলিয়ে এই মুহূর্তে প্রায় ২ লক্ষ সেনা উত্তর-পূর্বের সীমান্তে মোতায়েন করে রেখেছে ভারত। যা কিনা গত বছরের তুলনায় ৪০ শতাংশ বেশি। যদিও এই পরিস্থিতিতেও দুই দেশই জানিয়েছে সীমান্তে সমস্যা মেটাতে খুব শীঘ্রই ফের আলোচনায় বসবে তাঁরা।