সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অগ্নিগর্ভ ফ্রান্সকে (France) একহাত নিল চিন (China)। রবিবার একটি বিবৃতি জারি করে চিনা দূতাবাসের তরফে কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে ফরাসি প্রশাসনকে। এক কিশোরের মৃত্যুকে ঘিরে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে ফ্রান্স। সেই বিক্ষোভের সময়েই চিনা পর্যটকদের একটি বাসে হামলা হয়। তারপরেই কড়া বার্তা দিয়েছে চিন। প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই ১৩০০ জনকে বিক্ষোভ দেখানোর অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার চিনা পর্যটক বোঝাই বাসে হামলা চালিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। সেই সময়ে আহত হন বাসে থাকা চিনা পর্যটকরা। তারপরেই রবিবার একটি বিবৃতি জারি করা হয়েছে চিনের দূতাবাসের তরফে। মার্সেইয়ের দূতাবাস থেকে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, চিনা পর্যটকদের জীবন ও তাঁদের সম্পত্তির নিরাপত্তা দিতে হবে ফ্রান্সের প্রশাসনকে।
ফ্রান্সে থাকা চিনাদের জন্য বিশেষ বার্তা দিয়েছে মার্সেইয়ের দূতাবাস। পথে চলা ফেরার সময়ে আরও বেশি সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে চিনা নাগরিকদের। চিন থেকে যাঁরা ফ্রান্সে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন তাঁদেরও বলা হয়েছে, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে তবেই যেন বিদেশের মাটিতে পা রাখেন তাঁরা।
[আরও পড়ুন: ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ, ৮ বছর নির্বাচনে লড়তে পারবেন না বলসোনারো]
প্রসঙ্গত, ঘটনার সূত্রপাত হয় গত মঙ্গলবার। অভিযোগ, ট্রাফিক আইন অমান্য করে নাহেল এম নামের ১৭ বছরের এক কিশোর। প্যারিসের পাশে অবস্থিত নঁতের অঞ্চলে পৌঁছয় সে। সেই সময় কয়েকজন পুলিশ তাকে আটকানোর চেষ্টা করেন। তাঁদের মধ্যে একজন বন্দুক তাক করে ছিলেন। তারপর সেই কিশোর পালানোর চেষ্টা করলে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করেন সেই পুলিশকর্মী। মৃত্যু হয় কিশোরের। এরপরই উত্তাল হয়ে ওঠে ফ্রান্স।
এদিকে, বিক্ষোভ থামাতে এখনও পর্যন্ত প্রায় ১৩০০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মৃত্যু হয়েছে এক বিক্ষোভকারীর। আহত প্রায় ২০০ জন পুলিশকর্মীও। এরই মাঝে অভিযুক্ত পুলিশকর্মী নিহতের পরিবারের কাছে ক্ষমাও চেয়েছেন। কিন্তু তাতেও বিক্ষোভ কমার কোনও লক্ষণ নেই। গতকাল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জরুরি বৈঠকও ডেকেছিলেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। ইতিমধ্যেই ৪৫ হাজার সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।