সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আমেরিকার বিভিন্ন আদালতে চিনের সেনার অনুমোদিত যে সমস্ত পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে মামলা চলছে। তা অবিলম্বে তুলে নিতে হবে। না হলে চিনে থাকা মার্কিন নাগরিকদের সেখানকার আইন ভাঙার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হবে বলে হুমকি দিয়েছে বেজিং (Beijing)। শনিবার একটি মার্কিন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এই কথাই উল্লেখ করা হয়েছে।
ওই প্রতিবেদনে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আমেরিকার কয়েকজন উচ্চপদস্থ আধিকারিকের বক্তব্যের কথা তুলে ধরা হয়েছে। যেখানে তাঁরা বলছেন, গত কয়েকমাস ধরে মার্কিন প্রশাসনের কাছে বিভিন্ন উপায়ে চিনের পড়ুয়াদের উপর থেকে মামলা তুলে নেওয়ার বার্তা দিয়ে বেজিং। কিন্তু, তাতে কোনও কাজ না হওয়ায় এবার সোজাসুজি হুমকি দিতে শুরু করেছে। লালফৌজের অনুমোদিত পড়ুয়াদের উপর থেকে মামলা প্রত্যাহার না করা হলে চিনে (China) থাকা মার্কিন নাগরিকদের আটক করার হুঁশিয়ারি দিচ্ছে।
[আরও পড়ুন: প্যারিসের শিক্ষককে চিনতে স্কুলে এসেছিল হত্যাকারী, চিনিয়ে দিয়েছিল পড়ুয়ারাই ]
এর প্রেক্ষিতে গত ১৪ সেপ্টেম্বর নির্দেশিকা জারি করে মার্কিন নাগরিকদের চিনে যেতে নিষেধ করে আমেরিকার স্বরাষ্ট্র দপ্তর। ওই নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়েছিল, আমেরিকা (America) -সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করতে তাদের নাগরিকদের আটক করতে পারে চিন। তাদের দেশকে বাইরে বেরনোর উপর জারি করতে পারে নিষেধাজ্ঞা। তাই এখন চিনে না যাওয়াই উচিত।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত জুলাই মাসের শেষদিকে পিপলস লিবারেশন আর্মি (PLA) -এর হয়ে চরবৃত্তির অভিযোগে আমেরিকায় পড়তে আসা তিন চিনা নাগরিককে গ্রেপ্তার করে এফবিআই। ধৃতদের বিরুদ্ধে ভিসা জালিয়াতির অভিযোগ আনা হয়েছে। দোষী প্রমাণিত হলে ওই তিন পড়ুয়ার ১০ বছরের জেল এবং ২ লক্ষ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার জরিমানাও হতে পারে। ওই পড়ুয়াদের গ্রেপ্তারের পর আমেরিকার অ্যাসিসট্যান্ট অ্যাটর্নি জেনারেল ফর ন্যাশনাল সিকিউরিটি জন সি ডেমার্স দাবি করেছিলেন, লালফৌজের ওই সদস্যরা নিজেদের পরিচয় লুকিয়ে গবেষণা ভিসার আবেদন করেছিলেন। আসলে আমেরিকার উদার সমাজব্যবস্থার সুযোগ নিয়ে এই দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে কব্জা করার ছক কষছে চিনা কমিউনিস্ট পার্টি। এটা হতে দেওয়া যাবে না। তাই এফবিআইয়ের সঙ্গে যৌথ ভাবে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।