সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বহুদিন ধরেই ভারত-চিন দু’দেশের মধ্যে সীমান্ত সমস্যা রয়েছে। উত্তর-পূর্ব দিকে অরুণাচল প্রদেশ থেকে শুরু করে উত্তরে আকসাই চিন, সীমান্ত বরাবর বহু জায়গাতেই দু’দেশের মধ্যে সমস্যা রয়েছে। একাধিকবার দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমেও মেটেনি সেই সমস্যা। এর মধ্যেই সীমান্ত সমস্যা নিয়ে মুখ খুলেছেন চিনা কূটনীতিক দাই বিঙ্গোও। তাঁর দাবি, ভারত অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং নিয়ে চিনের দাবি মেনে নিলে, অন্যান্য ক্ষেত্রে চিনও ভারতের দাবি ভেবে দেখবে।
দাই বিঙ্গোও-র মতে, অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং তিব্বত-এর অবিচ্ছেদ্য অংশ। ভারত যদি এই অংশটিকে চিনের বলে মেনে নেয় তাহলে সীমান্ত সমস্যা অনেকটাই মিটবে। পাশাপাশি তিনি আরও জানান, ভারত যদি চিনের এই দাবি মেনে নেয় তাহলে আকসাই চিন ও সীমান্তের অন্যান্য সমস্যার ক্ষেত্রে চিন কিছুটা নরম হবে।
চন্দ্রকেতুগড়ের সংগ্রহশালায় মগনলাল মেঘরাজের হানা!
২০১৩ সালে অবসর নিয়েছিলেন দাই বিঙ্গোও। কর্মজীবনে দু’দেশের মধ্যে সীমান্ত সমস্যা নিয়ে প্রায় ১৫টি বৈঠকে যোগ দেওয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। সেই অভিজ্ঞতার কথাই একটি প্রবন্ধে লিখেছেন তিনি। সেখানেই তিনি বলেন, ‘তাওয়াং-সহ পূর্ব সীমান্তের যে সমস্ত জায়গা নিয়ে চিন-ভারতের মধ্যে অশান্তি রয়েছে, দেখা যাবে সেখানকার সংস্কৃতির সঙ্গে চিনের সংস্কৃতির মিল রয়েছে। তাওয়াংও চিনের আওতায় ছিল। কিন্তু ১৯৫১ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে সেখানে তিব্বত সরকার প্রশাসনিক কাজ বন্ধ করতে বাধ্য হয়। এমনকী ব্রিটিশরাও বেআইনিভাবে ‘ম্যাকমোহন লাইন’ টেনে দেয়, অথচ তাওয়াং কিন্তু চিনের আওতায় ছিল। বহুবার যুক্তিপূর্ণভাবে অনুরোধ করেও ভারত সেকথা শোনেনি। আর সেকারণেই এই সমস্যাগুলি দেখা দিচ্ছে।’
আজাদ কাশ্মীরের দাবিতে আবারও পোস্টার জেএনইউতে
ভারতের দাবি, আকসাই চিনের ৩৮ হাজার বর্গকিমি চিন জোর করে দখল করে রেখেছে। অপরদিকে, চিন বলে এসেছে পুরো অরুণাচল প্রদেশটাই নাকি চিনের অধীনে। এমনকী এর আগে বহুবার ম্যাপে অরুণাচল প্রদেশকে নিজেদের অংশ বলে দাবি করেছে চিন। দাই বিঙ্গো আশাবাদী, দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে খুব শীঘ্রই দু’দেশের মধ্যে সীমান্তের সমস্যা মিটবে। তবে তার জন্য ভারতকে এগিয়ে আসতে হবে। যদিও নয়াদিল্লির পক্ষ থেকে এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।