সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারত-চিন রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের সাক্ষী ছিল গালওয়ান (Galwan Clash)), লাদাখ সীমান্ত। চিনের বিরুদ্ধে ভারতের জমি দখলের অভিযোগ উঠেছিল। গালওয়ানে হামলাকারী কমান্ডারের হাতে ‘বীরত্বে’র স্মারক তুলে দিয়েছেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। সেই ছবি প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
চলতি মাসের ১২ তারিখ জিনজিয়াং প্রদেশ সফরে গিয়েছিলেন চিনের প্রেসিডেন্ট। উল্লেথ্য, তুলনামূলকভাবে অস্থির লাদাখ সীমান্তবর্তী চিনের এই প্রদেশ। সীমান্তে স্থিতাবস্থা এবং শান্তি বজায় রাখতে ভারত ও চিনের প্রতিনিধিদের লাগাতার বৈঠক চলছে। এরমধ্যেই জিনপিংয়ের জিনজিয়াং প্রদেশ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এই সফরে লালফৌজের জওয়ান এবং কমান্ডারদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি। তাঁদের উৎসাহিত করতে ভোকাল টনিকও দেন জিনপিং।
[আরও পড়ুন: ট্রাকের ধাক্কায় অন্তঃসত্ত্বার পেট ফেটে জন্মাল শিশুকন্যা, মা-বাবার মৃত্যু হলেও সুস্থ নবজাতক]
শুক্রবার লালফৌজের রেজিমেন্ট কমান্ডার কি ফ্যাবাওকে সম্মানিত করেন জিনপিং। একাধিক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, গালওয়ানে ভারতীয় সেনার উপর হামলার নির্দেশ দিয়েছিলেন এই রেজিমেন্ট কমান্ডারই। যদিও চিনের দাবি, ভারতীয় সেনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে গুরুতর জখম হয়েছিলেন ফ্যাবাও। সেই ‘বীরত্বে’র জন্যই চিনা প্রেসিডেন্ট তাঁকে ‘হিরো রেজিমেন্ট কমান্ডার’ সম্মানে সম্মানিত করেছে বলে খবর। ইতিপূর্বে গালওয়ান সীমান্তে হামলাকারী এক সেনা জওয়ানকে শীতকালীন অলিম্পিকের মশাল বাহকের মর্যাদা দিয়েছিল চিন।
২০২০ সালের ১৫ জুন সংঘর্ষ শুরু হয় একটি অস্থায়ী ব্রিজ নির্মাণ ঘিরে। পালটা সীমান্তে ‘বাফার জোন’ নির্মাণের কাজ শুর করে চিন। ৬ জুন ৮০ জন পিএলএ (PLA) সৈন্য ভারতের নির্মিত সেতুটি ভেঙে ফেলতে আসে। যদিও সেই সময় আলোচনার মাধ্যমে একরকম সমাধান হয়। ঠিক হয় ‘বাফার জোন’ অতিক্রম করে চিনা সেনা ফিরে যাবে। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি রাখেনি চিন।
[আরও পড়ুন: দুর্গাপুজোর আনন্দ মাটি করতে পারে বৃষ্টি? জেনে নিন কী বলছে হাওয়া অফিস]
উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে ১৫ জুন বিতর্কিত এলাকা পরিদর্শন করতে যান কর্নেল সন্তোষবাবু ও তাঁর দল। যেখানে আগে থেকেই উপস্থিত ছিল কর্নেল কি ফ্যাবাওয়ের নেতৃত্বে চিনা সেনা। ‘দ্য ক্ল্যাক্সন’-এর রিপোর্টে বলা হয়েছে, আচমকাই ফ্যাবাওয়ে ভারতীয় সেনাকে আক্রমণের নির্দেশ দেয় নিজের ফৌজকে। সঙ্গে সঙ্গে ফ্যাবাওয়েকে আটক করে ভারতীয় সেনা। কর্নেলকে বাঁচাতে পিএলএ ব্যাটালিয়ন কমান্ডার চেন হংজুন এবং সৈনিক চেন জিয়াংরং ভারতীয় সেনার সঙ্গে সংঘাতে জড়ান। এই সময়েই স্টিলের পাইপ, কাঁটা লাগানো লাঠি দিয়ে ভারতীয় জওয়ানদের উপরে হামলা চালায় চিনা সেনা।