সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেখতে দেখতে প্রায় এক সপ্তাহ হয়ে গেল। কিন্তু ইজরায়েলের (Israel) সঙ্গে প্যালেস্তাইনের (Palestine) সংঘর্ষ থামার যেন কোনও লক্ষণই নেই। আর এই নিয়ে এবার সম্মুখসমরে বিশ্বের দুই মহাশক্তিধর দেশ আমেরিকা ও চিন। ইজরায়েল-প্যালেস্তাইন সংঘাত নিয়ে বিবৃতি জারি করতে চেয়েছিল রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। কিন্তু অন্যান্য সদস্য দেশ রাজি থাকলেও একা আমেরিকার ভেটোতে আটকে গেল তা। আর এই বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ চিনের। রীতিমতো বিবৃতি জারি করে বাইডেন প্রশাসনের সমালোচনায় মুখর হল চিনা বিদেশমন্ত্রক।
জানা গিয়েছে, রবিবারই চিন ও নরওয়ের বিশেষ উদ্যোগে ভারচুয়াল বৈঠকে বসেছিলেন রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য দেশগুলির প্রতিনিধিরা। চিন, আয়ারল্যান্ড, নরওয়ে, মেক্সিকো, ভারত-সহ ১৪টি দেশের প্রতিনিধিই অবিলম্বে ইজরায়েল ও প্যালেস্তাইনের মধ্যে চলতি সংঘর্ষ বন্ধের পক্ষে সওয়াল করেন। দুই দেশই যাতে অবিলম্বে অস্ত্রবিরতি ঘোষণা করে তার জন্য এক খসড়া বিবৃতি প্রকাশ করার পক্ষেও সায় দেন তাঁরা। কিন্তু সেখানেই বাধ সাধে আমেরিকা। মার্কিন প্রতিনিধি ভেটো প্রয়োগ করে জানান, দুদেশের মধ্যে শান্তিস্থাপনে আমেরিকা পর্দার পিছনে কাজ চালাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে এই বিবৃতি প্রকাশ করলে নাকি পরিস্থিতি উলটে আরও খারাপ হতে পারে। ফলে নিরাপত্তা পরিষদের পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত খসড়া বিবৃতি প্রকাশ করা যায়নি। যদিও বাইডেন প্রশাসনের পক্ষ থেকে জনসমক্ষে দেওয়া বিবৃতিতে আগেই ইজরায়েলকে যুদ্ধ থামানোর পরামর্শ দেওয়া হলেও পাশাপাশি সমর্থনও জানানো হয়েছিল। বলা হয়েছে, হামাসের ছোড়া কয়েকশো রকেট থেকে নিজেদের বাঁচাতেই ইজরায়েলের এই পদক্ষেপ।
[আরও পড়ুন: ইজরায়েলের ‘ভয়ংকরতম’ বিমান হানায় বিধ্বস্ত গাজা! অন্তত ২৬ জনের মৃত্যু]
তবে এই প্রথম নয়, গত ১০ মে গাজায় ইজরায়েলের হামলা শুরুর প্রথম দিনেও নিরাপত্তা পরিষদের খসড়া প্রস্তাব গ্রহণের ক্ষেত্রে বাধা দিয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এমনকী এই বৈঠক ডাকতেও ঢিলেমি দিয়েছিল। তবে এই পরিস্থিতিতে আমেরিকার এই পদক্ষেপে বেজায় চটেছে রাশিয়া এবং চিন। বেজিংয়ের তরফ থেকে তো বিবৃতিও জারি করা হয়েছে। চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-কে উদ্ধৃত করে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘গোটা বিশ্বে শান্তি বজায় রাখার দায়িত্ব রয়েছে নিরাপত্তা পরিষদের কাঁধে। অথচ দুর্ভাগ্যজনকভাবে একটি দেশের বাধা দানের ফলে একই সুরে মতপ্রকাশ করতে পারল না নিরাপত্তা পরিষদ।’